সিবিএন ডেস্ক:
দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গেলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।
২০২০ সালে দুদকের দায়ের করা মামলায় সোমবার (৯ জানুয়ারি) তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আমজাদ হোসেন খোকন ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ দেয় দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২। ওই মাসের ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের নোটিশ গ্রহণ করেন তিনি। নোটিশ গ্রহণ করেও ২১ দিনের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে সম্পদের বিরবণী জমা না দিয়ে দুদকের ২৬ ধারা অবজ্ঞা করার অভিযোগ আনা হয়।
দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানিয়েছেন, দুদকের নোটিশ পেয়েও নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, আমজাদ হোসেন খোকন সরকারি দলের রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরণের আইন বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এমনটি অবৈধ প্রভাব বিস্তারেরও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বাহারছড়ার ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে ভোট ডাকাতি চেয়ারম্যান হয়েছে বলে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাওলানা আজিজ উদ্দীন। এই ঘটনায় আদালতেও মামলাও দায়ের করা হয়। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।