সোয়েব সাঈদ, রামু:
রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের আলী হোছাইন সিকদারপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডে ৬টি বসত বাড়ি পুড়ে গেছে। এতে ৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৫০ লাখ টাকারও বেশী। শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা হলেন- মৃত মতিউর রহমানের ছেলে নুরুল হাসান, আবু হানিফ ও ফয়েজ উল্লাহ, শামসুল আলমের ছেলে মো. ইসমাইল, ইমাম উদ্দিনের ছেলে মো. কালু, ছুরত আলম ও জহুর আলম।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানিয়েছেন- অগ্নিকান্ড শুরুর সময় তিনি ওই এলাকার পাশে কলঘর বাজারে ছিলেন। খবর পেয়েই তিনি ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করেন এবং নিজে অগ্নিকান্ডস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
তিনি জানান- আগুনের তীব্রতা ছিলো খুবই বেশী। তাই ফায়ার সার্ভিসের আপ্রান চেষ্টা সত্তে¡ও বাড়িগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুফিদুল আলম জানিয়েছেন- মতিউর রহমানের বাড়ি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বাড়িগুলো সেমিপাকা ও কাঠের তৈরী হওয়ার আগুন দ্রæত ছড়িয়ে পড়লে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমাও অগ্নিকান্ডস্থলে যান। তিনি জানান- তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঢেউটিন, কম্বল সহ অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডস্থলে যান-রামু থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক কোম্পানী, সাবেক চেয়ারম্যান মুফিদুল আলম ও ব্যবসায়ি নুরুল আলম।
জানা গেছে, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই দরিদ্র। অগ্নিকান্ড চলাকালে এসব পরিবারের সদস্যদের কান্নার রোল ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী এসব পরিবারের পাশে সহায়তার হাত প্রসারিত করার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক কোম্পানী জানিয়েছেন- ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া ব্যবসায়ি গিয়াস উদ্দিন কোম্পানী অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।