এম,নুরুল কাদের, মহেশখালী:

সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, বাবা থেকেও না থাকার মত। পড়াশোনার খরচ ভালো মতো না জুটলেও অদম্য ইচ্ছায় শেষ পর্যন্ত কোন কিছুই বাধা হতে পারেনি, এসএসসি পাস করে সবাইকে অবাক করেছেন। স্বপ্ন দেখছে ব্যাংকার হওয়ার সালাউদ্দীন।
এ অবস্থায় সমাজের হৃদয়বান মানুষের একটু সহযোগিতা পেলে স্বপ্ন পূরণ হবে সালাহ উদ্দিনের। কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামের জেলে মোহাম্মদ জালাল ও গৃহিণী আয়েশা বেগম এর দম্পতি পরিবারের ৬ ভাই-বোনের মধ্য সালাউদ্দিন ৫ নম্বর সন্তান মোঃ সালাউদ্দিন।

মা আয়েশা বেগম জানায়, জন্মের পর থেকেই হাত, পা বিহীন শারীরিক প্রতিবন্ধী সালাউদ্দিন ৫ বছর বয়সে ভর্তি হয়েছিল বাড়ীর পার্শ্বে উত্তর নলবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । সে সফলতার সাথে পাশ করে মাধ্যমিকে পা রাখে-২০১৪ সালে। এবার বেড়ে যায় মায়ের কষ্ট, প্রতিদিন তার আসা যাওয়ার তিন চাকার ভ্যানটা ঠেলে স্কুলে নিয়ে আনতো ও নিতো মা আয়েশা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও হার মেনেছে তার প্রবল ইচ্ছা শক্তির কাছে। থেমে নেই তার পড়াশুনা। মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে এসএসসি-২০২২ সালে ইউনুসখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে হতে সফলতার সাথে মাধ্যমিক জীবন শেষ করে।

এ ব্যাপারে কালারমারছড়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, উত্তর নলবিলা গ্রামে গরিব পরিবারে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সালাহ উদ্দিন এবার এসএসসি পরীক্ষায় ইউনুসখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে উর্ত্তীণ হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন একটাই ? অর্থের কাছে এরা খুবই দুর্বল। কী ভাবে ব্যাংকার হবে। এ অবস্থায় সমাজের হৃদয়বান মানুষের একটু সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে তার স্বপ্ন পুরন হবে বলে তিনি মনে করেন।