বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সুনাগরিক ও সূর্য সন্তান: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অত্যান্ত ঝাঁকজমক এবং মনোরম পরিবেশের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ কবিরের সভাপতিত্বে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, তা এখন দৃশ্যামান। আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশই বদলে দিয়েছে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির গতিপথ। ২০৪১ সালকে সামনে রেখে এখন নতুন চ্যাইলেঞ্জ স্মার্ট বাংলাদেশ। এই স্মার্ট বাংলাদেশ সহজ করবে মানুষের জীবন যাত্রা, হাতের মুঠোয় থাকবে সবকিছু। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হবে সেই রূপকথার মতো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ।’ আর বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হবেন সেই স্মার্ট বাংলাদেশের সত্যিকারের সুনাগরিক ও সূর্য সন্তান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সুদক্ষ দেশ পরিচালনা মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক আমূল পরিবর্তন এনেছে। যা অতীতে কেউ পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একদিকে দেশকে যেমন উন্নয়নের মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বের দরবারে হয়েছে আত্মমর্যাদাবান। তাই বর্তমান প্রজন্মের হাতে হবে আগামীর রূপকথার সোনার স্মার্ট বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিদারুল হক সিকদার। এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ
অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, অজপাড়াগাঁয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা হওয়ার পর থেকে এই জনপদে যে শিক্ষা বিস্তৃতি লাভ করেছে তা সত্যি চমকপ্রদ। এছাড়াও
প্রতি বছর ভালো রেজাল্ট উপহার দিয়ে উপজেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়। এই অবদানের পেছনে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ভূমিকা প্রশংসার দাবীদার। তিনি বিদ্যালয়ের সুখে-দুঃখে ও উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ যেকোন কাজে সর্বদা পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক-অভিভাবিকা ও ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।