ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়া:
উখিয়ায় প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বনের কাঠ। বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দৌরাত্ম বেড়েছে কাঠ পাচারকারীদের। এ যেনো এক অবৈধ কাঠ পাচারের মহোৎসবে মেতেছে একটি প্রভাবশালী চক্র। গভীররাতে পাচার করছে বন্যপ্রজাতির বিভিন্ন রকমের কাঠ। ফলে দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে বনাঞ্চল। হারিয়ে যাচ্ছে সবুজায়ন ও জীববৈচিত্র্যের পূর্বের চিত্র। হুমকির মুখে বন্যপ্রাণীরা প্রতিনিয়ত নাভিশ্বাস ফেলছে। কিন্তু তাতেও মন গলেনা অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের। কিন্তু চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন-এ প্রবাদটি সত্যি অর্থে সবসময় প্রমাণিত হয়। অবৈধভাবে কাঠ পাচারের খবরে গভীররাতে মাঠে নামে প্রশাসন ও বনবিভাগ। বুধবার(২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি দুই উপজেলার সীমানাবর্তী পাতাবাড়ী এলাকায় টহল বৃদ্ধি করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন(৩৪ বিজিবি) ও উখিয়া রেঞ্জের বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

গভীররাতে অবস্থানের পর রাত দুইটার দিকে আসে গোল কাঠবোঝাই একটি ডাম্পার। বনবিভাগ ও টহলরত বিজিবি সদস্যরা অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসিয়ে তল্লাশি করলে এক পর্যায়ে উপস্থিতি টের পেয়ে ডাম্পার চালক পালিয়ে যায়। পরে জব্দ করা হয় ডাম্পারভর্তি গোলকাঠ।

এ বিষয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন,”আজ গভীররাতে পাতাবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গোলকাঠ ভর্তি একটি ডাম্পার জব্দ করা হয়েছে। কাঠসহ ডাম্পার রেঞ্জ কার্যালয় হেফাজতে রয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বনবিভাগের নিয়মিত অভিযান ও টহল অব্যাহত থাকবে। ”

অভিযানে উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান,ভালুকিয়া বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আলম সহ বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।