উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকরতাদের (ইউএনও) একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় আগামী ৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। পাশাপাশি মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

এর আগে উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করেন হাইকোর্ট। গত ২৯ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

দেশের প্রতিটি উপজেলা পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মতো নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালত তার আদেশে উপজেলা পরিষদ ভবনের সাইনবোর্ডে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের পরিবর্তে ‘উপজেলা পরিষদ কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি একই আদেশে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ধারা ১৩ (ক), ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। মামলার বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে সে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ১৫ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ রিট দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দফতরের কার্যক্রম পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য ইউএনওদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে এর আগে জারি হওয়া সার্কুলার অনুসরণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইউএনওরা যাতে ওই সার্কুলার অনুসরণ করেন সেজন্য পৃথক আরেকটি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের এক সম্পূরুক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।