নুরুল আলম সাঈদ,নাইক্ষ্যংছড়ি:
পার্বত্য এলাকার অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টাতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, কাজুবাদাম ও কফির
বিশাল চাহিদা রয়েছে বিশ্ব বাজারে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। পাহাড়ের বৃহৎ পাহাড়ী এলাকাজুড়ে এসব ফসল চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ে কাজু বাদাম ও কফি চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ছে প্রান্তিক চাষী ও শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষেরা। পাহাড়ের উঁচু- নীচু ঢালুতে কাজু বাদাম, কফি ও ফলজ বৃক্ষের আবাদ দিন দিন বেড়ে চলেছে। নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ে কাজু বাদাম,কফি চাষ,কাগজি লেবু,কমলা লেবু,কলাসহ ফলজ বৃক্ষ, চা বাগান,রাবার বাগান,পাম্প,আগর এবং সরিষার আবাদ স্ব-চক্ষে পরিদর্শন করেন কৃষি মন্ত্রী ড: মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম, কফি বাগান, সোনাইছড়ির নিসর্গ এগ্রো ফার্ম পরিদর্শন শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী আবুল কালাম সরকারী কলেজ মিলনায়তনে পাহাড়ী এলাকার উক্ত চাষীদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন- আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের সম্ভাবনাও প্রচুর। এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পার্বত্য এলাকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রসার ঘটবে। পাহাড়ী এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একই সাথে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
কফি ও কাজু বাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এসব ফসলের চাষ
জণপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে সরকার বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেয়া হয়েছে; আর এ বছর ২০ লাখ চারা দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার , সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা বাসন্তী চাকমা,কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরে উপস্থিত ছিলেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল রেজাউল করিম,বান্দরবানের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ শফিউল্লাহ,নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা,জেলা পরিষদের সদস্য ক্যানুওয়ান চাক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু
তাহের কোম্পানি, সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ৫ ইউনিয়নিয়নের জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতা,বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন ফলজ এবং বনজ বৃক্ষের চাষীরা মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।