মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলা মাতারবাড়িতে নিজের ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করার পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় মগডেইল এলাকার ফয়জুল করিম ও তার পবিরারের লোকজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
একই এলাকার বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আরা অভিযোগ করেছেন, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ফয়জুল করিমের পরিবারের সাথে বাবুল মিয়ার পরিবারের বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল দুপুরে দুই পরিবারের দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বাবুল মিয়ার পুত্রকে মারধর করে ফয়েজুর রহমানের পরিবারের লোকজন। এসময় পুত্রকে উদ্ধার করতেএগিয়ে গেলে ফয়জুল করিম ও তার পরিবারের লোকজন মিলে বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আরাকে বেদম প্রহার করে। এক পর্যায়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে এবং চুল কেটে নেয়। হামলায় গুরুতর আহত হন ইয়াসমিন আরা। তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ইয়াসামিন আরা বাদি হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে হামলার ওই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে ফয়জুল করিমের পরিবার। এর অংশ হিসেবে ওইদিন রাতেই নিজেদের একটি কুড়েঘর আগুন লাগিয়ে জ¦ালিয়ে দেয় তারা। তার আগে মালামাল সরিয়ে নেয়। এই সংক্রান্ত ভিডিও রয়েছে।
জানা গেছে, ইয়াসমিন আরাকে মারধর ও চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় ফয়জুল করিমসহ জড়িতদের আসামী করে মহেশখালী থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তা জানতে পেরে ফয়জুল করিম উল্টো বাবুল ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে সাজানো ও মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা শুরু করেছে। মামলা দায়ের করা জন্য তারা দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফয়জুল করিম একজন মামলাবাজ লোক। তিনি বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে। বাবুলেরর পরিবারকেও সেভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে করে যাচ্ছে। আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়েরের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।