নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি:
নাইক্ষ্যংছড়ির মায়ানমার সীমান্তে ফের স্থল মাইন বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল পাহাড়ি এলাকা।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্তে শনিবার ( ৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা ২৭মিনিটের সময় নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকার ৪৫ নং সীমান্ত পিলারের মিয়ানমারের ২০ গজ অভ্যন্তে জিরো লাইনের সালিডং নামক এলাকা থেকে বিকট শব্দ কম্পিত হয়। এ সময় একটি স্থল মাইন বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে সীমান্ত জনপদের ৩-৪ টি গ্রাম।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জামছড়ি এলাকার মো: তৈয়ব উল্লাহ(৩৫) জানান,যখন মাইন বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসে, তখন তিনি সেহেরী খেয়ে নিদ্রা যাওয়ার জন্য বাড়ির মেঝেতে বিছানা তৈরি করছিলেন, ওই মুহূর্তে মাটি কেঁপে ওঠার ফলে তার মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
স্থানীয় জামছড়ির মৌলনা শামসুল আলম ও হোসন মেম্বারসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,গত প্রায় ৮মাস ধরে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন শত শত মিয়ানমার থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারিরা গরু নিয়ে আসছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এই অবৈধ কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অনেক চোরাকারবারি মিয়ানমারের ভিতরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরুসহ সিগারেট,ইয়াবাসহ আরো বিভিন্ন মালামাল আনার জন্য গিয়ে মিয়ানমারের নাসাকা কতৃর্ক জিরো লাইনের মাটিতে পুঁতে রাখা স্থল (ল্যান্ড)মাইন বিস্ফোরণে এই পর্যন্ত আহত ও নিহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ।
এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মায়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ভোর সাড়ে ৬টায় সময় মাইন বিস্ফোরণ হয় বলে, আমি একাধিক মানুষ থেকে জেনেছি।
নাইক্ষ্যংছড়ির সচেতন মহল জানায়,মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনের পাহাড়ি জঙ্গলে মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী মাইন স্থাপন করে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে আসছে। এই মাইন বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় কৃষক- কাঠুরিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারায়।
উল্লেখ্য যে , গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৩ টার সময় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪২/৪৩ সীমান্ত পিলারের নিকুছড়ির মাঝামাঝি মিয়ানমারের পুরাতন মাইজ্জা চর নামক স্থান দিয়ে বিকট একটি শব্দ কম্পিত হয়ে মাইন বিস্ফোরিত হয়।
জানা যায়, পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মায়ানমারের নাসাকার পুঁতে রাখা ওই স্থল ( ল্যান্ড) মাইন বিস্ফোরণে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালার ৬নং ওয়ার্ডের চেরার মাঠ এলাকার মৃত বাছা মিয়ার ছেলে মো: ছুরুত আলমের বাম পা উড়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, ওই দিন মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গরু আনার জন্য প্রবেশ করেছিল ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।