জাহেদ হাসান,কক্সবাজার:
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের পানেরছড়া বনবিটের আওতাধীন বনভূমিতে পাহাড় কেটে অবৈধ স্হাপনা, পাহাড় কেটে মাটি ও বালি পাচার, বনভূমি দখল করে বিক্রি সহ নানান অপরাধে সহযোগীতা করেন বিট কর্মকর্তা সোহেল রানা। তার চাহিদামত টাকা দিলে বৈধতা দিয়ে থাকে এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডের।আবার সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার দায়িত্বও নিয়ে নেয় এই বিট কর্মকর্তা। টাকার বিনিময়ে সরকারি বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা নির্মান সহ নানান অপরাধে সহযোগিতা করলেও উর্ধবতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

অনুসন্ধানে উঠে আসে,পানেরছড়া বনবিটের চিহ্নিত ভুমিদস্যু, গাছ খেকো সহ বনভূমি দখলবাজদের সাথে বিট কর্মকর্তা সোহেল রানা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আতাঁত করে সরকারি সম্পদ ধ্বংস করে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।পানেরছড়া বিটের সমিতিপাড়া, নিজেরপাড়া,লম্বাঘোনা,বনতলা,বলিপাড়া,তুলাবাগান সহ বিভিন্ন স্হানে বনভূমিতে স্থাপনা নির্মানে সহযোগিতা করে সরকারি বনভুমিকে বিরানভুমিতে পরিনত করেছে।

সরজমিনে গিয়ে বনভূমি দখল করা বাড়ি নির্মাণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা বিট অফিসারকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেছি। এখানে আমাদের বাধা দেওয়ার কেউ নেই। যেহেতু বন বিভাগের সাথে আমাদের ঠিকঠাক আছে।বনবিভাগকে টাকা দিলে আর কোন সমস্যা হয়না।বিভিন্ন স্হানে সরকারি বনভুমিতে অনেক ঘরবাড়ী করা হচ্ছে,তাদেরও কোন সমস্যা হয়নি। টাকা নিলে সে বেঈমানি করে না।

সূত্রে পাওয়া,গত কিছুদিন আগে পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত ও বিট কর্মকর্তা সোহেল রানা রাতে পানেরছড়া থেকে নাম্বার বিহীন বালিভর্তি একটি ডাম্পার আটক করে নিয়ে যায়।পরে গোপন বৈঠকে বসে ডাম্বার মালিক থেকে ১ লাখ দিয়ে নিয়ে গাড়িটি ছেড়ে দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,আমি ২০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে এই জায়গায় বসবাস করে আসছি।আমাদের চারপাশে অনেক পুরাতন ঘরবাড়ি, বলতে গেলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।কিছুদিন আগে আমি আমার বাড়ির আঙ্গিনায় ঢেউটিন দিয়ে ছোট এক রুমের একটি ঘর তৈরী করতেছিলাম।হঠাৎ কোন কথা না বলে পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত ও পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা সোহেল রানা সহ স্হানীয় ১০ থেকে ১২ জন লোক নিয়ে এসে আমার ছোট ঘরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে বাড়িটি তছনছ করে চলে যায়।যাওয়ার আগে বলে যায় ৫০ হাজার টাকা না দিলে তোমার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে।আমি কোন উপায় না পেয়ে বিট কর্মকর্তা সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে,আগে রেঞ্জার স্যারের ১৫ হাজার দাও আমারটা আমি ঈদের আগে যেকোন সময় নেবো।আমি মামলা থেকে বাঁচতে তার কথা মত টাকা দিয়ে আসি।

এব্যাপারে বিট কর্মকর্তা সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে  বলে,আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেব। মামলা দেয়া হয়েছে কিনা পরে খোঁজ নিলে কোন প্রকার মামলার অস্তিত্বও পাওয়া যায় না।

এবিষয়ে জানতে পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত এর মুঠোফোনে কল দেয়া হলে,তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা( ডিএফও)মোহাম্মদ সরওয়ার আলম বলেন,আমরা তদন্ত করে দেখবো,যদি প্রমাণিত হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।