ইমাম খাইর, সিবিএন:
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কায়সারুল হক জুয়েলকে পদত্যাগের ৪দিন পর বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে (গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৩৪ এর গ উপধারা অনুযায়ী) ১৯ মে তাকে বহিস্কারাদেশ পাঠান কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ। তিনি উল্লেখ করেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ মে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর সুস্পষ্ট ৮টি কারণ উল্লেখসহ কুরিয়ারযোগে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন কায়সারুল হক জুয়েল। কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিমত পোষণ, উপজেলা সম্মেলন করতে অনীহাসহ প্রায় অভিযোগ জেলা সভাপতি (আহবায়ক) রহিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

এদিকে, পদত্যাগের ৪ দিন পর কায়সারুল হক জুয়েলকে দল থেকে বহিস্কারের বিষয়ে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে স্ট্যাটাস লিখছেন। মন্তব্য করছেন একেকজনে একেক রকম। প্রকাশ পেয়েছে বিভক্তি। বাড়ছে পারস্পরিক দূরত্ব। সুযোগ নিচ্ছে সুযোগ সন্ধানীরা।

বহিস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ বলেন, কায়সারুল হক জুয়েল পদত্যাগপত্র প্রেরণের পূর্বেই বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়ে গেছে। তাছাড়া যে কোন বিষয়ে দলের নীতি নির্ধারনী ফোরামের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

তিনি বলেন, পদত্যাগ করলেই হয় না। তা গৃহীত হতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত।

দপ্তর সম্পাদক বলেন, পদত্যাগপত্রটা যখন তিনি কুরিয়ারে পাঠিয়েছেন তখন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কেউ অবগত নন। পরে হোয়াটসেপেও প্রেরণ করেন। তবে তার আগেই কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছেন।

উল্লেখ্য, কায়সারুল হক জুয়েল কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এ.কে.এম মোজাম্মেল হকের কনিষ্ট সন্তান ও কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাজনীতির মাঠে কৌশলী ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত জুয়েল।