নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার বর্তমান রাতের আঁধারের সরকার জনগণের অধিকার হরণ করেছে। তারা সারাদেশে লুটপাট চালাচ্ছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বেগম পাড়া গড়ে তুলেছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। দিনের ভোট রাতে করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বিএনপির নেতৃত্বে গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। বিএনপি এখন সেই গণআন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের রাজপথে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
আবদুল্লাহ আল নোমান শনিবার (২০ মে) বিকালে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত কক্সবাজার জেলা বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এই জনসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।
জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধরী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম মোকতার আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, সহ-সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী ও এডভোকেট নুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমদ, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোকতার আহমদ, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, কক্সবাজার পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম, ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনি, রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম কুতুবী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আহমদ উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন জিসান, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, সদস্য সচিব শরিফ উদ্দিন বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুচ, সদস্য সচিব সরওয়ার রোমন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি নাছিমা আকতার বকুল, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহাদত হোসেন রিপন, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুর রহমান নয়ন, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুল আলম মিজান। এছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভা, সদর, রামু, মহেশখালী, টেকনাফ উপজেলার অঙ্গসংগঠন সমূহের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখেন।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানিয়েছেন, গণসমাবেশ শুরু হওয়ার আগে শহরের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জড়ো হন। ওই সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনেসহ পুরো রাস্তা বিএনপি নেতা-কর্মীদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। উপজেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে এই সমাবেশে যোগ দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।