মোহাম্মদ ম্যাক্স :

আসন্ন কক্সবাজারের পৌর নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে প্রানচাঞ্চলতা দেখা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে পুরু কক্সবাজার জুড়ে, যেখান যান না কেন আপনি, সবার মাঝে এই নির্বাচন নিয়ে আলোচনার টেবিল উত্তপ্ত থাকে, চলে হরেকরকম কল্পনা ঝল্পনা আর, নানারকম অদ্ভুত হিসেবনিকেশ। টক অব দ্যা টাউন বলা যায়।

মুলত ৩ হেভিওয়েট প্রার্থীর মাঝে চুল চেরা বিশ্লেষণ চলে আপামর জনসাধারণের মাঝে।

তারা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর এবং সাবেক পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র, মাহবুবুর রহমান মাবু, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এবং কিংবদন্তির আওয়ামীলীগ নেতা এক এম মোজাম্মেল হকের প্রথম পুত্র মাশেদুল হক রাশেদ আর সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল।

জনসাধারণের মাঝে যে বাক বিতন্ডা চলে তার একটি কিস্তি হলো, কার সম্ভাবনা কতটুকু আর নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ আর গ্রহনযোগ্য হবে তা নিয়ে।

গতবারে বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনটিতে অনেকেই সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন নি বলে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান থাকেন।

যদি একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হয়, আর এক্ষেত্রে দেখা যাক কারা এই মুহুর্তে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন,
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে।

মাহবুবুর রহমান মাবু নৌকা প্রতীক পাওয়াতে আওয়ামীলীগ আর তার অংঘসংগঠনের কর্মীদের নৌকা প্রতীক এর পেছনে ক্যাম্পেইন করতে দেখা যাচ্ছে।

এদিকে মাশেদুল হক রাশেদ আওয়ামী পরিবারের হওয়া সত্বেও নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে গিয়ে তেমন কাউকে তার ক্যাম্পেইনে নামতে দেখা যাইনি।

অপরদিকে বি,এন,পি জামাত নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ায়, নাগরিক পরিষদের সরওয়ার কামালের ভোটার এই দুই দলের মনে করা হচ্ছে।

মাশেদুল হক রাশেদের ক্যাম্পেইনে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, আর মাহাবুবুর রহমান মাবুর ক্যাম্পেইনে ও দলে দলে সবাইকে স্বতস্ফূর্তভাবে নামতে দেখা যায়।

প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে বিভিন্ন আক্রমণাত্বক বুলি ছুড়তে শোনা যায়।

‘ আপনারা স্থানীয় কাউকে নির্বাচন করুন আপনাদের মেয়র’ বাণীতে জনৈক মেয়র প্রার্থী।

‘ আপনারা যাকে নিরাপদ মনে করবেন তাকে নির্বাচন করুন আপনাদের মেয়র’ আরেক মেয়র প্রার্থী, জনসভায়।

এই নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগনের মুখরোচক গল্পের শেষ নেই।

কালো টাকা, ইলেকশন ম্যাকানিজম ইত্যাদি নিয়ে ও অনেক কে মতামত দিতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ভোটার বলেন, এই নির্বাচনে মুলত অভিজ্ঞতার সাথে নতুন স্বপ্নের বুনন হবে,মাশেদুল হক রাশেদ নির্বাচিত হলে, প্রথমবার মেয়র হবেন আর অপরদিকে মাহাবুবুর রহমান মাবুর আর সরওয়ার কামালের রয়েছে দীর্ঘ দিন যাবৎ পৌরসভার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিজ্ঞতা।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন নগরী কক্সবাজার এই পৌরসভা ভৌগোলিক এবং অর্থনৈতিক কারনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর।

এখানে স্পর্শকাতর কতকগুলা ব্যাপার সারাবছর মেয়র আর কাউন্সিলদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, রোহিঙ্গা ভোটার, জন্ম নিবন্ধন, পরিবেশে দুষন আর বাকখালীর আশপাশ এর বিশেষ এলাকা, খুরুস্কুল বর্ধিতকরন ইত্যাদি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার অভুতপুর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন, এর ধারাবাহিকতার আস্ফালন নির্বাচিত মেয়রের হাত দিয়ে যাবে অনেকটা।

অনেকের ধারনা, যেহেতু আওয়ামীলীগের দুজন বাঘা বাঘা প্রার্থী এই বারের নির্বাচনে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন, এতে করে আওয়ামীলীগের ভোটারদের মধ্যে দ্বিদাদন্দে ভোটার ভাগ হয়ে অপর প্রার্থী সরওয়ার কামালের সম্ভাবনা জাগিয়ে দিবেন।

যেহেতু এই পৌরসভায় বি,এন, পি জামাতের অনেক ভোটার আছেন যারা একটি চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছাবেন, সময়ের অন্তদানের সাথে সাথে।

এই অঞ্চলে সংখ্যাতত্ব নিয়ে প্রচুর জনগনের মাঝে গবেষণা চলে, উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, প্রায় ৯০ হাজারের উপর ভোটার, কাউন্সিলদের অতি উৎসাহী মনোভাব আর ব্যাপক জনসংযোগের কারনে ৭০% ভোট ‘ কাষ্ট’ হওয়ার আশা ব্যাক্ত করছেন অনেকেই, ২০/২২ হাজার ভোট পেলেই একজন মেয়র নির্বাচিত হবেন এরকম একটি গানিতিক সমাধান অধিকাংশের কাছে প্রচলিত আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে, এবারের মত ‘ অনিশ্চিত ভোটার ‘ কক্সবাজার পৌরসভা এর আগে কখনো দেখিনি, প্রায় ভোটারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা নিজেরাই বুঝতেই পারছেন না কাকে এবার পৌর পিতা হিসেবে দেখতে চান, কাউকে ও আবার নির্বাচন আগের দিন পর্যন্ত অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন বলতে শোনা গিয়েছে।
বর্তমান মেয়র মুজিবুর রহমান নৌকা প্রতীক না পাওয়াতে এই নির্বাচনের সমীকরণ হয়েছে আর জটিলতর।