মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
প্রশাসনিক কর্মকর্তা (Administrative officer) পদে পদোন্নতি লাভ করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার উপ সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এহছানুল করিম।
গত ২৮ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৩ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশ্বের হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এহছানুল করিম সহ দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত ৪২ জন স্টাফকে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
এরআগে গত ৭ মে সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় এই ৪২ জন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের (আগের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম-উচ্চমান সহবারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর) জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড) বেতন স্কেলে ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ পদে পদোন্নতির সুপারিশ করে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করা কক্সবাজার শহরের মধ্যম টেকপাড়ার জামে মসজিদের সম্মুখস্থ সড়কের বাসিন্দা এহছানুল করিম ১৯৮৭ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন। মরহুম মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মরহুমা আয়েশা খাতুন এর দ্বিতীয় সন্তান এহছানুল করিম নিজ এলাকায় রিয়াজু নামে বহুল পরিচিত। তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় নিষ্ঠা, সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিগত প্রায় চার দশক ধরে। কর্মক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর সুনাম ও সফলতার অনেক গল্প। এহছানুল করিম রিয়াজু কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ কর্মচারীর পুরস্কার।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করা কর্মপাগল এহছানুল করিম রিয়াজু ও জিগার সুলতানা দম্পতি এক কন্যা এবং ৩ পুত্র সন্তানের জনক ও জননী। একমাত্র কন্যা মেধাবী সুমাইয়া করিম সাফা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রথম পুত্র আফিফ করিম রাইয়ান AIUB-তে কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে অনার্স তৃতীয় সেমিস্টারে, দ্বিতীয় পুত্র আরহাব করিম আদিব ঢাকাস্থ পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরে শহীদ আবদুর রব স্কুল এন্ড কলেজে এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষে এবং তৃতীয় পুত্র আবির করিম টেকপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন রব্বানী হেফজখানায় অধ্যয়নরত।
এহছানুল করিম রিয়াজু ও তাঁর সহধর্মিণী জিগার সুলতানা বর্তমানে পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য সৌদিআরবে রয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে অসাধারণ অমায়িক ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন এহছানুল করিম রিয়াজু নিজের প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন মসজিদ, মাদ্রাসা, হেফজখানা সহ অনেক কল্যানকর প্রতিষ্ঠান।