রামু প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে ৫ হাজারের অধিক জনসাধারনের চলাচলের পথ দখল করে টিনের ঘেরা-বেড়া নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী চক্র। এ ঘটনায় জড়িত ভ‚মিগ্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) এবং রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভ‚ক্তভোগী এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চেইন্দা ছড়ারকুল এলাকায় জলপরী সেতুর উত্তর পাশর্^স্থ সড়কটি দিয়ে প্রায় ৫০০ পরিবারের জনসাধারণ যাতায়াত করে আসছে। এটি ছড়ারকুল ও আশপাশের এলাকার জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের সড়ক। সম্প্রতি এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এ সড়কে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে সংস্কার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। কিন্তু একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম মোবারক এর নেতৃত্বে একটি চক্র গত ৫ মে গ্রামবাসীর চলাচলের সড়ক দখল করে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণের লক্ষ্য টিনের ঘেরা-বেড়া নির্মাণ করে। সড়ক দখলের এ দৃশ্য দেখার পর পুরো এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার, ৩১ মে সকালে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় যান রামু থানা পুলিশের একটি দল। এসময় দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা, একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য জাফর আলম, মহিলা ইউপি সদস্য শাকিলা আকতার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকার শত শত জনতা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সড়ক দখল করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী। একপর্যায়ে ক্ষুব্দ গ্রামবাসী সড়কে স্থাপন করা টিনের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ কালু, সরওয়ার আলম ও এনামুল হক জানান- এ সড়ক দিয়ে এলাকাবাসী যুগযুগ ধরে চলাচল করে আসছে। সড়কটি দখল বা সংকুচিত করা হলে লোকজনের যাতায়াত ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যাবে। এমনকি ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্সসহ কোন গাড়ি জরুরী প্রয়োজনে ওই এলাকায় যেতে পারবেনা।
গ্রামবাসী আরও জানায়- জবর-দখলে জড়িত এ চক্রটি ২০০৭ সালেও সড়কের একাংশ দখল করে পাকা সীমানা দেয়াল নির্মাণ করেছিলো। পরে এলাকাবাসী প্রভাবশালী চক্রটির বিরুদ্ধে তৎকালীন ইউএনও’র কালে অভিযোগ দেয়। এরই জের ধরে প্রভাবশালী চক্রটি অভিযোগকারি এলাকার নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছিলো। সড়ক জবর দখলের প্রতিবাদ করায় এখনো এলাকার লোকজনকে মারধর ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে ভ‚মিদস্যুতায় লিপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মোবারক ও তাদের সহযোগিরা। এ ঘটনায় আতংকিত গ্রামবাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান- সড়কটি পুরনো এবং অনেক লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ ধরনের একটি সড়ক জবর-দখলের চেষ্টা হলে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানিয়েছেন- সড়কটি জবর-দখলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সড়ক দখল করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করা কাম্য নয়। দখলের চেষ্টায় জড়িতরা যতই প্রভাবশালী হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।