সংবাদদাতা:

কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এ. সালাম সড়ক এলাকায় উম্মে কুলসুম নামের প্রতিবন্ধী পরিবারের জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। তারা সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করছে। গায়ের জোরে প্রতিবন্ধীর জমিতে ঘর বাধছে। সৃজন করেছে জাল খতিয়ান। আদালতের নিষেধাজ্ঞাও পাত্তা দিচ্ছে না।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মধ্যম বাহারছড়া এ. সালাম সড়ক এলাকার নুর জাহান বেগম, খালেদা জেসমিন, উম্মে কুলসুম, তৈয়বুর রহমানের জমি দখলচেষ্টার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা চলমান। যার এম.আর মামলা নং-৫৬৯/২০২৩। মামলার বিবাদী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী, আরফাত রহমান, আরফাত বিন মুজিব, ফারজানা রহমান, রেজুয়ানা রহমান, সেলিনা মুজিব।
বিরোধীয় জমিতে শান্তি ভঙ্গে আশংকা করে গত ১০ মে ২য় পক্ষকে কারণ দর্শাতে বলেছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। এম.আর মামলা নং-৫৬৯/২০২৩ মূলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট থেকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে শান্তি শঙ্খলা বজায় রাখতে থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। একই এলাকার মোহাম্মদ হুমায়ুন চৌধুরী গংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন নুর জাহান গং।
সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অপর মামলা নং-৯৮/২৩ শুনানি শেষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। এসবের মধ্যেও অবৈধভাবে দখলবাজির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চিহ্নিত চক্রটি।
জানা গেছে, ১৯৩৫ সালের ৬ জুন আবদুস ছমদ থেকে ৮ গন্ডা ১ কড়া জমি ক্রয় করেন গোল ছমদ। সেই জমিতে দখলস্বত্ত্বও আছে। এরই মাঝে জাল খতিয়ান সৃজন করেছে একটি চক্র। ওই খতিয়ান বাতিলের জন্য প্রফেসর আবদুল আলিম গং বাদি হয়ে জাল খতিয়ানের  বি.এস ৩২৫৭ দাগের বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে অপর ১০৯/১৬ মামলা চূড়ান্ত শুনানি পর্যায়ে আছে।
৩২৫৭ দাগের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত নং-২ তে মিচ আপিল ৪৫/১৯ দায়ের করেন প্রফেসর আবদুল আলমি। যা চূড়ান্ত শুনানির জন্য ধার্য্য আছে।
নিঃস্বত্তবান ব্যক্তিগণ আবারো জমি দখলে নিতে নানামুখী পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দখলবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি ও প্রতিবন্ধী পরিবার।