জালাল আহমদ, পেকুয়া:
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোশতাক মিয়ার বাড়ির পাশে দুর্ধর্ষ ডাকাতির শিকার হয়েছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। গতকাল বুধবার দিবাগত ১০ ঘটিকার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা মোটরসাইকেল আরোহীর মোবাইল সেট এবং নগদ টাকা কেড়ে নেয়।
জানা যায়, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সবুজ পাড়ার আবু ইউসুফের ছেলে মিজানুর রহমান (২০) পার্শ্ববর্তী চকরিয়া পৌরসভা সদরে একটি কুলিং কর্নার দোকানে ব্যবসা করে।
আজ ২৮ জুন বুধবার(২০২৩) চকরিয়া উপজেলা থেকে কৈয়ারবিল হয়ে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে আসার পথে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মোটরসাইকেলে এক্সিডেন্ট করে মিজান । খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য তার চাচা মামুন এবং মিনহাজ শিলখালী থেকে মোটরসাইকেলযোগে কৈয়ারবিল যাওয়ার পথে চকরিয়া উপজেলার বর‌‌‌ইতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশতাক মিয়ার বাড়ি এবং হারবাংয়ের ছড়ার ব্রিজের মাঝখানে রাস্তায় দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের কবলে পড়ে । এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা রাস্তায় ব্যারিকেড় দিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের সাথে থাকা ১টি নকিয়া মোবাইল সেট , ১টি এম আই কোম্পানির স্মার্ট মোবাইল সেট, মানিব্যাগে থাকা ১০ হাজার টাকা এবং নগদ একাউন্ট থেকে জোরপূর্বক কোড নাম্বার আদায় করে ১৮০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী মামুনুর রশিদ জানান, “আমরা শিলখালী থেকে কৈয়ারবিল যাওয়ার পথে বরইতলী ইউনিয়নের মোশতাক মিয়ার বাড়ির সামনে যাওয়ার পর ডাকাত দলের সদস্যরা ব্যারিকেড সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল আটকে রেখে আমাদের হাত বেঁধে ফেলে।ডাকাত দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৭ জন।তাদের সাথে দেশীয় অস্ত্র , রাইফেল ও কিরিচ ছিল।তারা আমাদের টাকা এবং মোবাইল সেট কেড়ে নেয়”।
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সবুজ পাড়ার শাহ আলম এর পুত্র মামুনুর রশিদ (৩৭) এবং মনজুর আলম এর পুত্র মিনহাজ উদ্দিন (২৪) কে মারধর করে আহত করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় এই রোড়ে আগে প্রায়ই সময় ডাকাতি হতো।২০০৭ সালের জুলাই মাসে চকরিয়া উপজেলার অবিভক্ত ভেওলা মানিক চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া কে ডাকাত দলের সদস্যরা হত্যা করে। পবিত্র ঈদুল আজহার সামনে রেখে চকরিয়া থানার পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করলে মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হতো।