আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার) :
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৬দিন পর অপহৃত ৩ জন রোহিঙ্গা কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে । এ ঘটনায় জড়িত ৯ জন অপহরণ ও মানবপাচার কারীর সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা কিশোররা হলেন-উখিয়ার থাইংখালি ক্যাম্প-১৩ এর সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হাসান(১৪),মোহাম্মদ তাহেরের ছেলে আনিসুর রহমান(১৩) ও আব্দুল আমিনের ছেলে নুর আলম(১৫)।
গ্রেফতারকৃররা হলেন-টেকনাফ এলাকার নুরুল আমিন (৩২),মো. ফয়সাল (১৮) শফিকুল (১৮),সাইফুল ইসলাম (২২), মিজানুর রহমান (১৮),আব্দুর রহমান (১৭) মোহাম্মদ পারভেজ (১৪) এবং দুজন রোহিঙ্গা মো. মোবারক (১৭) মো. আমিন (১৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের লম্বরি নামক একটি দুর্গম স্থান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (অপস্ এন্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ জানান, রবিবার ২ জুলাই বেলা অনুমান ১১টার দিকে একটি অপরাধী চক্র টেকনাফে সুপারি পাড়া ও গাড়িতে তোলা কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্প-১৩ এর ৩ জন- ভিকটিমদের অবৈধভাবে আটকে রেখে তাদের অভিভাবকদের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি
করতে থাকে।
উক্ত সংবাদ পর ৮ এপিবিএন টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফে অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ৩ জন ভিকটিম সৈয়দ নুর(১২),মো: হাসান ও আনিসুর রহমানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
একইসাথে উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এবং টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে এই অপহরণ চক্রের ৯জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান,প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এ চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা হতে সুপারির কাজ/ অন্য কোন কাজের প্রলোভনে টেকনাফ এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় সুপারি বাগানের ভিতরে নির্জন স্থানে বিশেষ কৌশলে আটক রাখে। অত:পর ভিকটিমদের চোরা পথে নৌকাযোগে মায়ানমার এর শামিলা এলাকায় প্রেরণ করতঃ আটক রেখে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের নিকট সুকৌশলে বড় অংকের টাকা আদায় করে মুক্তি দেয়। অনেক সময় এই অপরাধ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও বিস্তৃত তদন্তের মাধ্যমে অপহৃত অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এই চক্রে গত ৬ জুলাই ১২ টার দিকে একই অপরাধী চক্র একই কায়দায় এফডিএমএন ক্যাম্প-১৩ ও আশপাশের এলাকা থেকে আরও ৬ জন রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে বলে জানা গেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।