নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শহরের গুনগাছতলা মোড়স্থ হোটেল আল-আমিন-এ লম্বা দা-কিরিচ, ছুরিসহসহ নানা ধরণের অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। মূলত হোটেলে আধিপত্য বিস্তার করতে অপর ওয়ারিশদের হামলা করতে এই সশস্ত্র মহড়া দেয়া হয়েছে। তবে দ্রæত পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় হোটেলের ওয়ারিশ নূরুল আলম ও তার পুত্র সজরুল ইসলাম বাপ্পী প্রাণঘাতি হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওয়ারিশ নূরুল আলমের পুত্র সজরুল ইসলাম বাপ্পী তাদের একটি কক্ষ ও তার জেঠাত ভাই আবুল হাশেমের ভাগের একটি কক্ষ ১০ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে একটি রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করছিলো। ইতিমধ্যে নির্মাণকাজ শেষের পথে। এর মধ্যে লোভের বর্শবর্তী হয়ে রেস্টুরেন্ট নির্মাণে বাধা দিয়ে আসছিলো জেঠা নূর আহমদের পুত্র আকতার কামাল, আরেক জেঠা মৃত লাল মোহাম্মদের দ্বিতীয় স্ত্রী শমশুšনাহার ও তার পাঁচপুত্র এবং আরেক জেঠা নূরুল ইসলাম। বাধা দেয়ার অংশ হিসেবে শুক্রবার ২১ জুলাই সকাল ৯টার দিকে প্রথমে মৃত লাল মোহাম্মদের দ্বিতীয় স্ত্রী শমশুন্নাহার ও নূরুল ইসলাম বাপ্পীর রেস্টুরেন্টের নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে শমশুন্নাহারে পুত্র শওকত ওসমান মহেশখালীর গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন করে বাপ্পীকে গলা কেটে নেয়ার হুমকি দেয়।

এর দুই ঘন্টা পর ১১টার দিকে শমশুন্নাহারের চার পুত্র শওকত ওসমান, মোস্তফা কামাল, মোশারফ হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন আকস্মিক মহেশখালী থেকে এসে হোটেলে উঠে। এসময় তাদের হাতে ছিলো লম্বা দা, কিরিচ ও বেশ কয়েকটি ধারালো ছুরি। এক পর্যায়ে তারা বাপ্পীর নির্মাণাধীন রেস্টেুরেন্টে ভাংচুর চালায় এবং সেখানে উপস্থিত বাপ্পী ও তার পিতা নূরুল আলমকে কোপানোর চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত লোকজনের বাধা এবং দ্রæত পুলিশ যাওয়ায় তারা হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের মহড়া ও হামলা চেষ্টার একটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী নূরুল আলম জানান, নূরুল ইসলাম, আকতার কামাল ও শমশুন্নাহারের পুত্ররা সজরুল ইসলাম বাপ্পীকে অহেতুক হয়রানি করছে। দীর্ঘ তিনমাস ধরে এভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। রেস্টুরেন্টের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পথে তারা আরো বেপরোয়া হয়েছে। তারা যেকোনো সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।