সোয়েব সাঈদ, রামু :
রামুর আলোচিত হেডম্যান আলী আহমদ হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সফুর আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঈদগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শুক্রবার, ২৫ আগস্ট বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈদগড় চরপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
আটক সফুর আলম রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের হাসনাকাটা এলাকার ফজল করিমের ছেলে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে সফুর আলমের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী চক্র হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে আসছে।
সফুর আলমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন। তিনি জানিয়েছেন – সফর আলম দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সে হত্যা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। গ্রেপ্তার এড়াতে সে পাহাড়ি অরণ্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার পর অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
সফুর আলমের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী চক্র ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের দূর্গম ব্যাংডেবা গ্রামের বাসিন্দা বন বিভাগের হেডম্যান আলী আহমদকে গুলি করে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় সফুর আলমসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে রামু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আলী আহমদের পরিবার। মামলার অন্যান্য আসামিরা আটক হলেও হত্যাকান্ডের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সফুর আলম। সম্প্রতি পলাতক অবস্থায় সফুর আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদীর পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকী দিলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
অবশেষে সফুর আলম পুলিশী অভিযানে ধরা পড়ায় এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।