সোয়েব সাঈদ, রামু:
রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর গ্রামে সড়কে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা। দুর্ভোগ নিরসনে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েও কোন কূলকিনারা পাননি গ্রামবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সাজ্জাদ সরওয়ার জানান- কয়েকবছর ধরে অফিসের চরপাড়া গ্রামে চলাচলের সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। কাঁদা পানিতে হেঁটেই এলাকার বাসিন্দা ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকাবাসী সড়কটি উঁচু করে সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেনি। একারণে চলতি বর্ষা মৌসুমে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
ওই এলাকার কয়েকজন মুসল্লী জানান- বর্ষায় পানিতে সড়কটি ডুবে গেলে অনেকে সেপটিক ট্যাংকের ময়লা পানি ছেড়ে দেয়। একারণে নোংরা কাঁদাপানি দিয়ে হেঁটে মুসল্লীরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছেন না। সড়কের এমন পরিস্থিতির কারণে চলতি বর্ষা মৌসুমে এ গ্রামের শতাধিক পরিবার এ সড়কে যাতায়াতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।
ফতেখাঁকুল ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য জাফর আলম জানিয়েছেন- সড়কটিতে বেশী কাঁদাপানি থাকায় তিনি নিজেও সেখানে যেতে পারেননা। তিনি আরও জানান- সড়কটি সংস্কারের জন্য পরিষদে মিটিং করে একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে। এখন এলজিএসপি’র বরাদ্ধ বন্ধ রয়েছে। আগামীতে অন্য কোন বরাদ্ধ আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদীর বেঁড়িবাধ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করা হবে। এছাড়াও বর্তমানে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের মাধ্যমে সড়কটির নালা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো জানিয়েছেন- বর্ষা এলেই সড়কটি পানিতে প্লাবিত হওয়ায় এলাকার লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। কিন্তু পরিষদে পর্যাপ্ত বরাদ্ধ না থাকায় এখনই সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্ধ পেলেই তিনি সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।