অনলাইন ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘ড. ইউনূসের সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি।’
আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমরান আহমেদ এসব কথা বলেন।
এমরান আহমেদ বলেন, ‘অধ্যাপক ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন যে—ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা খুরশীদ আলমেরড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা খুরশীদ আলমের
গণমাধ্যমকর্মীদের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরায়েলের যে আইন সংস্কার হচ্ছে—বিচার সম্পর্কিত, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটা আমার নিজস্ব চিন্তা।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার কারণ হিসেবে এমরান আহমেদ বলেন, ‘আমি মনে করি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ১৬০ জনের বিবৃতি ঠিকই আছে। আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত। আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁর সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি।’
এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেছেন, ‘বিবৃতির বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে বলা হয়নি। এটা সাধারণ আইনজীবীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে।’
– আজকে পত্রিকা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।