নিজস্ব প্রতিবেদক
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।

তারা হলো, ২ ইস্ট ক্যাম্পের ব্লক/ডি-৪ এর বাসিন্দা মৃত গফুর আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭) এবং ক্যাম্প-৭ এর ব্লক সি-৬ এর বাসিন্দা আহমেদ হোসেনের ছেলে সামসু আলম (২৩)। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত দুই রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৬নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-২ ব্লকের ২নাম্বার পাহাড় নামক এলাকার খেলার মাঠের সামনে এঘটনা ঘটে।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল জানান, উখিয়ার ৬ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-২ ব্লকের ২ নাম্বার পাহাড় নামক এলাকার খেলার মাঠের সামনে সন্ত্রাসীদের দুটি গ্রুপের মধ্যেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। উক্ত গোলাগুলিতে নুর মোহাম্মদ নামের একজন ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আর একজন শামসু আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।

তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করে ৭নাম্বার ক্যাম্পস্থ এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশীপের হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতলে যাওয়ার সময় শামসু আলম মারা যায়।

এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে এপিবিএন এর এ কর্মকর্তা জানান।