শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া :
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র বাস্তবায়নরত প্রকল্প ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট (ইএমসিআরপি) এর অধীনে কক্সবাজার জেলার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প সমূহে এবং কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলায় সবার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ব্যাংকের অনুদান সহায়তায় “জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি- সেক্টর প্রকল্প হতে বিভিন্ন সেবা সুবিধা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যবহারে যত্নশীল হওয়ার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) কর্তৃক উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কুতুবদিয়া উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী কপিল উদ্দীন কবিরের সভাপতিত্বে ও বিসিসিপির এ্যাওয়ার্নেস স্পেশালিষ্ট মোঃ নেছারুল ইসলাম জুয়েলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুসলিম উদ্দিন, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি কাইছার সিকদার, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শাহেদুল ইসলাম মনির প্রমূখ। এছাড়া, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইউপি সদস্য ও স্টেকহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার পাশাপাশি বরাদ্ধের একটা অংশ স্থানীয় জনগণের উন্নয়নের কাজে লাগাচ্ছেন তাঁর জন্য বিশ্ব ব্যাংক কে ধন্যবাদ জানান তিনি । এদিকে, সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিশেষ বরাদ্ধের এ উন্নয়নও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বিসিসিপি’র সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ জনগোষ্ঠী তাদের জন্য সরকার কর্তৃক উন্নয়ন সেবা সুবিধাগুলোর প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠবে। তা-ছাড়া সচেতনতামূলক বিভিন্ন আউটরিস প্রোগ্রামে দ্বীপের সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে যেমন পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু, বাল্য-বিবাহ প্রকৃতিক পরিবেশকে সংরক্ষণ করার কথা তুলে ধরার আহবান জানান তিনি ।
এর আগে সভার শুরুতে বিসিসিপি কর্তৃক সিএএস কার্যক্রমের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা সুবিধা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাস্তবায়নের চিত্র তোলে ধরা হয়।