নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার ১২ দিনেও খোঁজ মিলেনি সদর উপজেলার ভারুয়াখালীর গ্রীল ওয়ার্কশপ দোকান মালিক নুরুল হামিদের (৪২)। নিখোঁজ হামিদ ভারুয়াখালী ৪ নং ওয়ার্ডের বানিয়া পাড়ার মৃত ওজির আলীর পুত্র। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ৮/১০ জন লোক সিভিল পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাকে সিএনজিতে তুলে পরে রশিদনগর এলাকায় সাদা হাইয়েস মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি স্ত্রী উম্মে হাবিবার।
জানাযায়, সদরের ভারুয়াখালীর নুরুল হামিদ স্থানীয় বাজারে গ্রীল ওয়ার্কশপে কাজ শেষে বিকালে বাসায় আসে। সেদিন ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে হঠাৎ বানিয়াপাড়ার বাসায় ৮/১০ জনের লোক সিভিল পোশাকে প্রবেশ করে। সমস্ত বাড়ি তন্নতন্ন করে। পরে নুরুল হামিদকে বাসায় পেয়ে ধরে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আছে কিনা আদৌ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিনা জানতে চাইলে নুরুল হামিদের বড়ো ভাই আবদুল হামিদকে শাসিয়ে দ্রুত সিএনজিতে করে চলে তারা এমনটাই দাবি করেন আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডিবি) পরিচয়ে ভাইকে তুলে নেয়ার পর আমরা অনেক জায়গায় খুঁজেছি। কক্সবাজার সদর থানায় জিডি করতে গেলে থানা জিডি গ্রহন করেনি। বানিয়াপাড়ার বাড়ি থেকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে রশিদনগর এলাকায় গাড়ি পাল্টিয়ে সাদা হাইয়েস মাইক্রোবাসে তুলে চট্টগ্রামের দিকে গাড়িটি চলে যায়। তবে তিনি বাজারে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ থেকে গাড়ির (নম্বর চট্টমেট্টো ৫২-৫৭১৭)টি সনাক্ত করতে পারলেও ১১ দিন অতিবাহিত হয়েছে। তবুও ভাইয়ের হদিস না পাওয়ায় শংকিত পুরো পরিবার।
নিখোঁজ নুরুল হামিদের স্ত্রী উম্মে হাবিবা বলেন- আমার স্বামী একজন সাধারণ গ্রীল ওয়াকশপের মালিক। ভারুয়াখালী বাজারে কাজ করে ৩ সন্তান নিয়ে সংসার চালাতেন। আজ ১১ দিন হলো স্বামীর কোন খোঁজ নেই। ৩ সন্তান নিয়ে আমার জীবন চলছে অনাহারে অর্ধাহারে। তার বিরুদ্ধে কোন হত্যা মাৃলাও নেই, দাগি আসামি ও নয়। আসলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে গেছে নাকি আমাদের এলাকার কোন্দলের বিরুধো তাকে সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে গেছে জানিনা। স্বামীর খোঁজ পেতে পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: কামাল উদ্দিন জানান- নুরুল হামিদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে দিনেদুপুরে তুলে নেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। সেদিন আমি ঢাকায় স্থানিয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম বলে বিষয়টির বিস্তারিত জানতে পারিনি। নুরুল হামিদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় তবে তাকে প্রকাশ্যে আনা দরকার। যদি কোন সন্ত্রাসী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় তবে তা তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের। অন্তত ৩ অবুঝ সন্তানের এবং অসহায় পরিবারের কথা বিবেচনায় তার হদিস জরুরি। অসহায় পরিবার পথ চেয়ে আছে নুরুল হামিদের। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পারিবারিক বিরোধের কারনে তাকে অপহরণ করতে পারে এমন আশংকা ও করছেন স্থানিয়রা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।