আব্দুস সালাম,টেকনাফ:

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম–উত্তর -পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সোমবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল করবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর রবিবার বিকেলের দিকে সতর্কসংকেত প্রত্যাহার করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সোমবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌরুটে জাহাজ চলাচল করবে। সকালে ‘এমভি বারো আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়া জেটি থেকে সেন্টমার্টিনদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আটকে পড়া পর্যটকদের ওই জাহাজে ফেরত আনা হবে।

এর আগে আবহাওয়া খারাপ থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে রবিবার সকাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনদ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছিলেন।

রবিবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত আবহাওয়া বার্তায় উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্র্যাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিকেলের দিকে সতর্কসংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল আবার জাহাজ ও ট্রলার চলাচল শুরু হবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া তিন শতাধিক পর্যটকদের আজ সোমবার জাহাজে করে ফেরত আনা হবে।