নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভালোবাসার বিয়ের বছর আড়াই না পেরোতেই বাপের বাড়িতে লাশ হয়ে ফিরলো গৃহবধূ তৈয়বা বেগম (২০)। ১১ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫ টায় চকরিয়ার বিএম চর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ তৈয়বা চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী গ্রামের নবীর হোসাইনের কন্যা। সে ১ সন্তানের জননী।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বিগত ২০২১ সালে তৈয়বার সাথে প্রণয় পরবর্তী বিয়ের পিঁড়িতে বসে বিএমচর বেতুয়া বাজারের লম্বা বাবুলের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২২)। বর্তমানে তাদের আড়াই মাস বয়সী শিশু কন্যা ওয়াজিফা রয়েছে। এদিকে নিহত তৈয়বার মামা কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জানান, তৈয়বাকে ১১ অক্টোবর ভোর ৫টা থেকে ৬ টার মধ্যে স্বামীর নেতৃত্বে শ্বশুর বাড়ির লোকজন খুন করে আমাদের না জানিয়ে লাশ দাফনের অপচেষ্টা চালায়। পরে সকাল ৮ টায় অজ্ঞাত প্রতিবেশীর মুঠোফোনে খবর পেয়ে তৈয়বার স্বজনরা ঘটনাস্থলে যায়। এসময় হত্যার ঘটনাকে ধামা-চাপা দিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন কল্পিত নাটক সাজায়। পরে দেখা যায় তৈয়বার সারা শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরক্ষণে লাশ ফেলে তৈয়বার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
এদিকে চকরিয়ার বেতুয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রিয়াদ লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে ছাইরাখালীতে তৈয়বার লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।