ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
ঘূর্ণিঝড় হামুনে কক্সবাজার জেলায় ৩৭ হাজার ৮৫৪টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যেখানে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫ টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ির পরিমাণ ৩২ হাজার ৭৪৯। জেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন। কক্সবাজার পৌরসভা, চকরিয়া ও মহেশখালীতে মারা গেছে ৩ জন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তার দেওয়া তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলার ৭১ টি ইউনিয়ন ও কক্সবাজার, মহেশখালীসহ ২ টি পৌরসভা।
হামুনের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪ টি বৈদ্যতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। বিকল হয়েছে ২৩ টি ট্রান্সফরমার। ৪৯৬ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, পৌরসভার দেড়শ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ১ বান করে ঢেউটিন ও নগদ ১ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পৌরমেয়র মোঃ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু, শাহেনা আকতার পাখি, ইয়াসমিন আকতার, ওমর সিদ্দিক লালু, কাউন্সিলর এসআইএম আকতার কামাল আজাদ, মিজানুর রহমান, আমিনুল ইসলাম মুকুল, শাহাব উদ্দিন সিকদার, এহেছান উল্লাহসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলার নয়টি উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা।
তবে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে জেলার সরকারী দপ্তরভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা হয় নি। যা প্রকাশ হয়েছে তা প্রাথমিক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।