মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে গতকাল রাতে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ঘর-বাড়ি। উপড়ে গেছে শত শত গাছপালা। ফসলি জমি ও বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বিকাল ৪টা থেকে পেকুয়ার সাত ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে উপজেলার মগনামা, রাজাখালী, পেকুয়া সদর, উজানটিয়া, বারবাকিয়া, টইটং ও শিলখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় দেড় হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আর এসব ইউনিয়নে আরো দুই হাজার ঘর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব ও শিক্ষা প্রতিষ্টান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ চৌধুরী জানিয়েছেন, তাঁর ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গতকাল রাতে ঘুর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে প্রায় ৩শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বসত বাড়ির মূল্যবান ফলজসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি উপড়ে গেছে।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: তোফাজ্জল করিম জানিয়েছেন, তার ইউনিনের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হামুনের আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গাছ উপড়ে পড়েছিল। ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীদের সহায়তায় এসব গাছ অপসারণ করা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের জানান, ঘূর্নিঝড়ে হামুনের তীব্র বাতাসের কারণে গতকাল রাতে পেকুয়ার অনেক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনের জন্য সরকারের দুর্যোগ অধিদপ্তর থেকে ২ মেঃ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আমরা পেকুয়াবাসী সংগঠনের সমন্বয়ক রেজাউল করিম জানান, পেকুয়ায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় সরকারী বরাদ্দ অপ্রতুল। তিনি পেকুয়ার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রান সামগ্রী বরাদ্দের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।