নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যে তরিকতের সাথে ইসলামী শরিয়ার সম্পর্ক নেই সেটি ভণ্ডামী ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন পীর সাহেব বায়তুশ শরফ শায়খ আল্লামা মোহাম্মদ আব্দুল হাই নদভী।
তিনি বলেন, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্পত্তি হল ঈমান। এই ঈমান মজবুত হয় দুইটি বিষয়ে। ১ম হলো ভালোবাসা। এই ভালোবাসা হবে আল্লাহ ও রসুলের প্রতি ভালোবাসা, মানুষকে ভালোবাসা, সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা।
আর ২য়টি হলো আদব। যার যত জ্ঞান ও ক্ষমতা হউক না কেন তার সাথে আদব বা মরোওয়াত না থাকলে কোন সুফল পাওয়া যায়না। তাই প্রত্যেক মুসলমানের ঈমান মজবুত করা দরকার।
বায়তুশ শরফের দুইদিনব্যাপী ফাতেহায়ে ইয়াজ দাহুম ইছালে ছওয়াব মাহফিলের সমাপনী বক্তব্যে আল্লামা আব্দুল হাই নদভী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা দুনিয়ার পেছনে না পড়ে আল্লাহকে ভয় করে দুনিয়ার ইজ্জত-সম্মান, ধন-দৌলত তাদের পেছনে দৌড়ায়।
আল্লামা আব্দুল হাই নদভী বলেন, মুসলমানরা শ্রেষ্ট জাতি আর তাদের আছে বিশ্ববাসীর কাছে চ্যালেঞ্জ করার মত গর্ব করার মত আল কোরআন। মুসলমানরা এই গ্রন্থের সাথে যতদিন ছিল ততদিন সম্মানিত ছিল। আগামীতেও কোরআন আকড়ে থাকলে মুসলমানরা সম্মানিত হবে।
আর রসুল করিম (সঃ) হচ্ছেন উসওয়ায়ে হাসনা বা নবীজির সুন্নাহ হচ্ছে অনুসরণযোগ্য আদর্শ।
পীর সাহেব বলেন, তিনি যা করেন তা শুধু লিওয়াজহিল্লাহ বা আল্লাহর ওয়াস্তে করে থাকেন। বায়তুশ শরফের এই কার্যক্রমও লিওয়াজহিল্লাহ। কোন ব্যক্তি স্বার্থে নয়। তিনি বলেন তিনি জীবনে কোন দিন কারো সাথে ঝগড়াঝাঁটি করেননি। তবে সত্য কথা বলেছেন।
পীর সাহেব বলেন, হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) তাঁর যোগে শ্রেষ্ট মুফাস্সির, মুহাদ্দিস, ফকিহ ও যোগশ্রেষ্ট আলেমে হক্কানী ছিলেন। তাঁর একটি উঁচুমানের তাফসীর আছে। অথচ আজকের অনেক ওলামায়ে কেরাম তা জানেনও না।
বায়তুশ শরফ ইসলামী শরিয়া ও তরিকতের সুন্দর সমন্বয় করে থাকে। এই দরবারে কোন ধরণের শরিয়াহ বিরোধী কার্যক্রম নেই।
জান্নাত পেতে প্রত্যেককে
মাতা-পিতা, পরিবার পরিজন, এতিম ও অসহায় মানুষের সেবা ও সহায়তার আহবান জানান আল্লামা আব্দুল হাই নদভী।
শনিবার বাদ ফজর দুইদিনব্যাপী ইছালে ছওয়াব মাহফিলের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দিনব্যাপী মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন রাহবারে বায়তুশ শরফ শায়খ আল্লামা আব্দুল হাই নদভী।
এতে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক আলহাজ্ব এম এম সিরাজুল ইসলাম।
তিনি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, চক্ষু হাসপাতালসহ ১০ টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
দুইদিনব্যাপী ইছালে ছওয়াব মাহফিলের সফল সমাপ্তিতে মহান আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করেন এবং মাহফিলে অংশগ্রহণকারী, সহায়তাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান এম এম সিরাজুল ইসলাম।
দুইদিনব্যাপী ইছালে ছওয়াব মাহফিলের বিভিন্ন অধিবেশন পরিচালনা করেন, প্রিন্সিপ্যাল ছলিমুল্লাহ, মাওলানা ওমর ফারুক ও আঞ্জুমানে নওজোয়ানের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।