শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

নাম শারমিন আক্তার। বয়স ২৯। গ্রামের বাড়ি রামু মধ্য মেরংলেয়া। সে ওই এলাকার গোলাম সোলতানের মেয়ে এবং দাদার বাড়ী কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর অমজাখালীতে। নিজে কোনো চাকরি না করলেও বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পাতেন তিনি। অন্যদের, চাকরি দিতে ‘যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির’ নামে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন।

সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে হলে শারমিন আক্তারকে দিতে হয় ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত টাকা। এরপর চাকরির আবেদন ফরম, ভুয়া নিয়োগপত্র, চাকরির শর্তাবলী সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র- সবই পায় একজন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু স্বপ্নের চাকরিটা বাস্তবে হাতে পান না কেউই। এদিকে, গতকাল বুধবার কুতুবদিয়ার উত্তর অমজাখালী এলাকা থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অর্থ আত্মসাৎ করা প্রতারক চক্রের মূলহোতা সেই শারমিন আক্তারকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন এসিল্যান্ড জর্জ মিত্র চাকমা।

পরে,ভুক্তভোগীরা কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় শারমিন আক্তারকে বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মিতে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান কুতুবদিয়া থানার তদন্ত ওসি কানন সরকার।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ২৪ জন যুবক-যুবতীর কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাকরি দেওয়ার কথা বলে নেন বলে স্বীকার করেন শারমিন আক্তার এবং এক মাসের মধ্যে ভুক্তভোগীদের টাকা পরিশোধ ও এ ধরনের প্রতারণা আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেন।

ওই নারীর একটি স্বীকারোক্তির ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে বলতে শোনা যায়, এক সময়ে রেড ক্রিসেন্টে চাকরি করতেন। চাকরি হারিয়ে রেড ক্রিসেন্টের নাম ব্যবহার করে ভূয়া নিয়োগের প্রেক্ষিতে ২২ জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ প্রতারণা কাজে তাকে সহায়তা করেছে উত্তর অমজাখালীর কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেন তিনি।