নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি চাইল্যাতলীস্থ এ.কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো হাজী আলমাছিয়া ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ১১টি স্কুল-মাদরাসা থেকে ৫ম শ্রেণির ৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তারা বাংলা, ইংরেজি, অংক ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা দিয়েছে। সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্ত ২০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।

প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষা পুরো এলাকায় সাড়া ফেলেছে। মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেছে।

পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মা-বাবা, শিক্ষকদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। খারাপের সাথে চলা যাবে না। নিজেদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে একজন খারাপ সঙ্গই যথেষ্ট। তাই ভাল বন্ধু বানাতে হবে।

শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আহবান জানান ওসি।

এ সময় হাজী আলমাছিয়া ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মাওলানা ফরিদুল আলম, খুরুশকুল তেতৈয়া তাফহিমুল কুরআন আলিম মাদরাসার প্রভাষক খোরশেদ আলম আনচারী, মাস্টার জামাল হোসেন, মেরিন সিটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলী আকবর, পানের ছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন আহমদ, নিজের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আমান উল্লাহ, বনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আকতারসহ মান্যগন্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।

সবুজেঘেরা মনোরম প্রকৃতির ক্যাম্পাসে পরীক্ষা পদ্ধতি ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন পর্যবেক্ষকরা।

মেধাবৃত্তি প্রসঙ্গে এ.কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৫ সালে হাজী আলমাছিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই ফাউন্ডেশনের অধীনে অনেক রাস্তাঘাটসহ সামাজিক কাজ করা হয়েছে। স্কুল, মসজিদ, মাদরাসাসহ অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই, প্রতিটি ঘরে শিক্ষার আলো প্রজ্জ্বলন হোক। তাই এলাকার গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে তুলে আনার লক্ষ্যে ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন ভিত্তিক মেধা বৃত্তি চালু করেছি। প্রথম বছর ১১ টি স্কুলের ৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। সেখান থেকে ২০ জন মেধাবৃত্তি পাবে। ক্রমান্বয়ে উপজেলা পর্যায়ে এই বৃত্তি চালু করা হবে।

শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তরুণ সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তা আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ।

শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা জনপদকে এগিয়ে নিতে হাজী আলমাছিয়া ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি।

আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদের সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর ছিদ্দিক।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন মোহাম্মদ আবদুর রহিম।

শিক্ষক মুহাম্মদ শমশাদ আলী, এরশাদ উল্লাহ, মোঃ খোরশেদ আলম ও করিম উল্লাহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

এ সময় শিক্ষক ইয়াসমিন আকতার, জাহেদুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ইউছুফ মির্জাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মেধাবৃত্তি আয়োজনে যারা বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছেন, সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ.কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।