মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ৪ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দিয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি (Electoral Enquiry Committee) গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) মোঃ আবদুছ সালাম এক প্রজ্ঞাপনে জারী করে কক্সবাজারের ৪টি সংসদীয় আসন সহ দেশের মোট ৩০০ টি আসনের জন্য এসব কমিটি গঠন করেন। যুগ্ম জেলা জজ ও সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার বিচারকগণকে ইলেকট্টোরাল ইনকুয়ারী কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ সুশান্ত প্রাসাদ চাকমা, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোছা: রেশমা খাতুন এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য-কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাঁধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে, এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম” সংক্রান্ত বিষয় সমুহ অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে ইলেকট্টোরাল ইনকুয়ারী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন জারীর সাথে সাথে ইলেকট্টোরাল ইনকুয়ারী কমিটিতে নিয়োগ প্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচারকগণ নিজ নিজ দপ্তর হতে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন এবং তাঁদের চাকরি আইন ও বিচার বিভাগ থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারকগণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত ইলেকট্টোরাল ইনকুয়ারী কমিটির দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের চাহিদামতো জাতীয় সংসদের ৩০০ টি সংসদীয় আসনের জন্য ৩০০ জন বিচারককে ইলেকট্টোরাল ইনকুয়ারী কমিটিতে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে পত্র দেওয়া হয়। গত বুধবার (২২ নভেম্বর) আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া এ পত্র প্রেরণ করেন।