মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা জজশীপের নিয়ন্ত্রনাধীন আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সমুহে আগামী রোববার ৩ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক অবকাশ শুরু হচ্ছে। এ অবকাশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। অবকাশকালীন কক্সবাজার জেলা জজশীপে জরুরী বিচারকার্য পরিচালনার জন্য কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন-কে অবকাশকালীন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত রোববার (২৬ নভেম্বর) আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এর উপসচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ ওসমান হায়দার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজার সহ সারা দেশের জেলা ও দায়রা জজ আদালত গুলোতে ৬২ জন অবকাশকালীন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়।

অবকাশকালীন সময়ে কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর নিয়ন্ত্রনাধীন আদালত সমুহ খোলা থাকবে ও নিয়মিত স্বাভাবিক বিচারকার্য চলবে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম আব্বাস উদ্দিন জানিয়েছেন, অবকাশকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন কক্সবাজারে জরুরী বিচারকার্য পরিচালনার জন্য অবকাশকালে ৮ কার্যদিবস ধার্য্য করে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক বিভাগ থেকে সোমবার (২৭ নভেম্বর) আদেশ জারি করেছেন। অবকাশকালীন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যেসব তারিখে বিচারকার্য পরিচালনা করা হবে, সেসব তারিখ গুলো হচ্ছে-আগামী ৫, ৬, ১২, ১৩, ১৯, ২০, ২৬ এবং ২৭ ডিসেম্বর।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অবকাশকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন মোট ৮ কার্যদিবস জরুরি ফৌজদারী, দেওয়ানী, শিশু সংক্রান্ত মামলা, এসব মামলা হতে উদ্ভুত জরুরি বিষয় সমুহ শুনানী ও নিষ্পত্তি করবেন।

অবকাশকালীন বিচারিক এখতিয়ার :

অবকাশকালীন সময়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৫ ধারার অধীনে পুনর্বিবেচনার দরখাস্ত ব্যতীত সকল ফৌজদারি দরখাস্ত ও মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৩ (২) ধারার অধীন ক্ষমতা সহ, ফৌজদারি কার্যবিধির ৯(৪) ধারার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

অবকাশকালে দেওয়ানি আদালত আইনের ধারা ১৪ ও ৩৬ অনুযায়ী জেলার অধিক্ষেত্রের জরুরি দেওয়ানি মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করার এবং শিশু আইনের আওতায় গঠিত শিশু আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।