ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার সাগর তীরের হোটেল সিগাল সংলগ্ন ঝাউবন এলাকা থেকে ৮ জনকে আটক করেছে র্যাব।
তারা হলেন, শহরের লাইট হাউজ পাড়ার আবু তালেবের ছেলে আবু হেনা বাপ্পি (২৭), পাহাড়তলী ইসলামপুরের আব্দুল কাদেরের রনি (২০), চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আলেকশাহ এলাকার মৃত কাশেমের ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩১), শহরের বাদশার ঘোনার (খাজা মঞ্জিল) মৃত শামসুল আলমের ছেলে মোঃ মঞ্জুর আলম (৩০), সমিতি পাড়ার মৃত ফারুকের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (২৫), উত্তর নুনিয়ারছড়ার সৈয়দ আহম্মদের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৪২), বাদশা ঘোনার মৃত আব্দুল মুন্নাফের ছেলে মোঃ আমিন (৩৫) ও নাজিরার টেকের মৃত খোকনের ছেলে মোঃ তারেক (২০)।
র্যাবের দাবি, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এই ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা ডাকাতচক্রের সদস্য।
পরে তাদের হেফাজত থেকে ১টি স্টিলের টিপ ছুরি, ৪টি ছুরি, ১টি স্কু ড্রাইভার, ১টি হাতুড়ি, ১টি টর্চ লাইট, ৪টি মোবাইল (২টি এন্ড্রয়েড এবং ২টি বাটন ফোন), ৫টি সীম কার্ড এবং নগদ সাড়ে তিনশ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।
তিনি জানান, সুগন্ধা থেকে লাবণী সী-বীচগামী রাস্তার পাশে হোটেল সিগাল এর পশ্চিম পাশে ঝাউবনে ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালায় র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস দল। পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করে। তাদের নিকট থেকে ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি একত্রে সমবেত হয়ে পরস্পর জ্ঞাতসারে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ উক্ত স্থানে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। এছাড়াও ইতোপূর্বে চক্রটি কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মত নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।