এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী :
ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ এবাদুল হক মিয়াজি। বাড়ি মহেশখালী উপজেলার পানিরছড়া গ্রামে। দীর্ঘ ৫ বছর চাকরী করার পর সেই চাকরী ছেড়ে দিয়ে এখন বসতবাড়ি ও জমি রক্ষার কাজে নেমে পড়েছেন। জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াচ্ছেন এক দরজা থেকে অপর দরজা। অপরদিকে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে আছেন তার পিতা জহির আহমদ মিয়াজি। বাড়ির সামনে বসে থেকেই কাটে তার সময়। কারো সাথে কোন কথা বলতে পারেন না।
এবাদুল হকের স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করবেন। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে কর্মজীবনে পা দিয়েছিল। এবার তার স্বপ্ন পূরণের গন্তব্যে পৌঁছানোর পালা। ঠিক সেই সময় তার জীবনে নেমে আসে কালো ছায়া। ২০২২ সাল থেকে চাকরী ছেড়ে দিয়ে নিজের বাড়িভিটি রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এবাদুল হক জানান- তার পিতা জহির আহমদ মিয়াজি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সরকারী জমিতে বসবাস করে আসছে। কিন্তু সেই জমি দখলে নিতে অতীতে বহুবার চেষ্টা করেছে তাদের প্রতিবেশী শামশুদ্দোহা ও আনছারুল করিমের লোকজন। জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে এবাদুল করিমের পরিবারের বিরুদ্ধ থানা ও বনবিভাগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগও দেয় অবৈধ দখলদারগণ।
তিনি আরো জানান— শামশুদ্দোহা ও আনছারুল করিমের লোকজন গত ৫ মাস পূর্বে এবাদুল হকের বসতভিটির জমি দখল করে রাতের অন্ধকারে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছে। সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন এবাদুল হক। সেটি তদন্তাধীন আছে বলেও জানান তিনি।
এবার দীর্ঘদিনের হয়রাণী থেকে বাঁচতে চায় এবাদুল হক। সেই সাথে করতে চায় স্বাভাবিক জীবনযাপন। প্রতিপক্ষের রোষানল থেকে বাঁচতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। সেই সাথে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাও কামনা করেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে অভিযুক্ত শামশুদ্দোহা জানিয়েছেন— তাদের সাথে পৈত্রিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। যা স্থানীয়ভাবে বিচারাধীন। সামাজিক বিচারে যা হয়, তারা সেটি মানবেন।