প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
নাম মিনতি বর্মন, মাতা মালতি বর্মন, পিতা যতীন বর্মন গ্রাম – পানান, ডাকঘর রাজরামপুর, থানা ফুলবাড়ি, জেলা দিনাজপুর। ভাই বোন আটজন, পাঁচ বোন, তিন ভাই । হারিয়ে গেছে দুই বছর আগে, ঘুরতে ঘুরতে টেকনাফ চলে আসে ।
মানসিক রোগিদের তহবিল (মারোত) এর নিয়মিত কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে ১ লা ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় মিনতি কে তার ভাই হৃদয় বর্মন এর হাতে দীর্ঘ দুই বছর পর তুলে দেয়া হল। এই সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবরাং ছয় নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল ফয়েজ। এই প্রসঙ্গে মারোত কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া বলেন “”বিশে নভেম্বর মিনতি আমার চেম্বারের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল ,দেখেই আমার তাকে মানসিক রোগী বলে সন্দেহ হয়। ডাক দিলাম সে আমার চেম্বারের সামনে এসে দাঁড়াল আমি তাকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে উক্ত নামগুলো সে বলে এবং সাথে সাথে চলে যায় ।রাতের বেলা আমি তার নাম ঠিকানাগুলো নিয়ে গুগলে দেখে তার নাম ঠিকানা গ্রাম সব মিল দেখে ফুলবাড়িয়া থানার তদন্ত ওসি স্যারের কাছে যোগাযোগ করি এবং তাদের বাড়িতে চকিদার পাঠিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয় ।এবং তারা বলল দুই বছর আগে আমাদের বোন হারিয়ে গেছে আমরা তাকে অনেক খুঁজে পাইনি আপনারা দয়া করে একটু ওকে ধরে রাখেন ।আমরা নিয়ে আসব কিন্তু এরপর অনেকদিন খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া গেল না অবশেষে 27 নভেম্বর পাওয়া গেল ।আমি তাদেরকে ফোনে জানালে তারা আসার জন্য চেষ্টা করলেই ও টাকা-পয়সার অভাবে আসতে পারেনি ।আমি তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলাম তারা আসলে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া টুকু আমি দেব সেই আশা বুকে নিয়ে তারা আজকে এসেছে এবং তাকে আজকে হস্তান্তর করা হলো। এই কয়েকটি দিন মারোত সদস্য রাশেদ নিজ পরিবার র সদস্য হিসেবে মিনতি র সেবা করে গেছেন “”
এই সময় মারোত কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু সুফিয়ান, মারোত সেবা কেন্দ্র র আহবায়ক ফেরদৌস ইসলাম, সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, মারোত যুগ্ন সম্পাদক মোবারক হোসেন ভুইয়া, রাশেদুল ইসলাম, আবদুল মাজেদ,অনিমেষ বড়ুয়া সহ স্থানীয় রাজনৈতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মিনতি র পরিবার র লোকজন মারোত এর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।