বার্তা পরিবেশক:
আসন্ন ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযানের মুখে ডুলাহাজারার চিহ্নিত ডাকাত, ফেরারী আসামীরা নতুন করে ডেরা গেড়েছে খুটাখালী-ডুলাহাজারায় বিস্তৃত বহলতলি মৌজার লবণ মাঠে।
এই অস্ত্রধারী ডাকাতরা লবণচাষীদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। চাহিদামত চাঁদা না দেয়ায় নিরীহ লবণ চাষীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে এরকম অন্তত চারটি ঘটনা ঘটে বহলতলি মৌজায়।
অভিযোগ উঠেছে, সর্বশেষ ১ জানুয়ারী সকালে এক সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ ইউনুছের মালিকানাধীন প্রায় সাত কানি লবণ মাঠে হানা দেয় একদল অস্ত্রধারী ডাকাত। দাবী করে দু’লাখ টাকার চাঁদা। কয়েক ঘন্টার মধ্যে দাবীকৃত চাঁদা দিতে না পারলে লবণ মাঠ ছেড়ে দিতে বলে চাষাদের। ভয়ে আতংকে প্রবাসী ডুলাহাজারা কাটাখালী গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ ইউনুছ দু’ডাকাতের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ১ জানুয়ারী বিকেলে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এরা হলো ইয়াবা, অস্ত্র মামলার দু’পলাতক আসামী ডুলাহাজারা ষোলহিচ্ছা গ্রামের মৃত নুর আহমদের পুত্র জমির উদ্দিন, একই গ্রামের মনছুর আলমের পুত্র সন্ত্রাসী সুহাইল।
অভিযোগ রয়েছে- অভিযুক্ত ডাকাতরা পলাতক হওয়া সত্তে¡ও ডুলাহাজারায় এতদিন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াত। পরিচয় দিত চকরিয়ার এক ক্ষমতাবান নেতার ক্যাডার হিসেবে। কিন্তু আসন্ন ভোটে মাঠের হিসেব পাল্টে যাওয়ায় ষ্টেশন ছেড়ে ডাকাতরা গা ঢাকা দিয়ে লবণ ও চিংড়ি ঘেরকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
অস্ত্রধারীরা দিনে-দুপুরে করে যাচ্ছে বিভিন্ন লবণ ও চিংড়ি চাষীর কাছে চাঁদা আদায়, হুমকি-ধমকি ও মারধরের মতো ঘটনা। এতে ভর মৌসুমে খুটাখালী-ডুলাহাজারার বহলতলি মৌজার হাজারো লবণ ও চিংড়ি চাষীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সচেতন মহল মনে করছেন অবৈধ অস্ত্রধারী জমির, সুহাইলদের মতো ডাকাতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না গেলে ৭ জানুয়ারীর ভোটে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পরে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।