নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবারও সুখবর এলো যমুনা টেলিভিশনের দর্শক, শুভানুধ্যায়ীদের জন্য! মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জরিপ সংস্থা সোশ্যাল ব্লেডের র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে যমুনা। এর আগে, নয়া বছরের ৭ জানুয়ারি ৪র্থ স্থানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশি এ গণমাধ্যম।
গত ৭ জানুয়ারি ছয় থেকে দুই ধাপ এগিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে চারে উঠে এসেছিল যমুনা টেলিভিশন। এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবারও দুই ধাপ এগিয়ে এবার দুইয়ে উঠে আসলো যমুনা টিভি।
বাংলাদেশভিত্তিক কোনো ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে এই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা তিনেও জায়গা করে নিয়েছিল যমুনা। এছাড়াও বেশ কয়েকবার সেরা দশে জায়গা করে নেয়।
এবারের এই অগ্রযাত্রায় যমুনা টেলিভিশন পেছনে ফেলেছে আল জাজিরা, সিএনএন, ফক্স নিউজ, এনবিসি, ফোর্বস ব্রেকিং নিউজ, এবিসির মতো চ্যানেলগুলোকে।
ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি কন্টেন্টের মান বিবেচনা করে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করে সোশ্যাল ব্লেড। এই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা বিশ ইউটিউব চ্যানেলের তালিকায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে শুধু যমুনা টেলিভিশনই।
টিম যমুনার সকল বিভাগের আন্তরিক প্রচেষ্টাই এমন অর্জনের নেপথ্যে বলে মনে করেন নিউ মিডিয়া এডিটর রুবেল মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য অনেক চ্যানেলের মতো স্রোতে গা না ভাসিয়ে নিউজের গুরুত্ব বুঝে কন্টেন্ট দেয়ার চেষ্টা করি। দর্শককে বিভ্রান্ত করে ভিউ নেয়ার পরিবর্তে বরং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বিভ্রান্তি কাটানোর চেষ্টা থাকে সবসময়। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সোশ্যাল ব্লেডের র্যাঙ্কিংয়ে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে যমুনা টেলিভিশন। এরইমধ্যে যমুনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার দেড় কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে এগিয়েছে আরও অনেকটা পথ। ‘সোশ্যাল ব্লেডে’ও পড়েছে এর প্রতিফলন। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের মনিশ ক্যাশপ সন অব বিহার। ভারতের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল ‘আজ তাক’ রয়েছে যমুনার পরের স্থানেই অর্থাৎ তৃতীয়তে। আর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
এমন অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় যমুনার দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা মানুষের তথ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈচিত্র্যের দিকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বস্তুনিষ্ঠতা টিম যমুনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সেই অঙ্গীকার নিয়েই মানুষের কাছে সর্বশেষ তথ্যটি সবার আগে পৌঁছে দেয় যমুনা টেলিভিশন। দেশে ও বিদেশে থাকা কোটি কোটি বাংলা ভাষাভাষীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন ফাহিম আহমেদ।
কেবল কী ইউটিউবে? যমুনার ফেসবুক পেজও পিছিয়ে নেই। ফেসবুকের ক্রাউডট্যাঙ্গেল ডেটাবেসের হিসেবে প্রায়ই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ইন্টার্যাকটিভ পেজের তালিকায় থাকে যমুনার ফেসবুক পেজ। এই আস্থা ও ভালোবাসার জন্য দর্শক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি টিম যমুনার অভিবাদন।
-যমুনা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।