সিবিএন ডেস্ক:
অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অন্যদিকে সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি মো. সাহেদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। তার আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
পরে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘এটি আসল অস্ত্র নয়। রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। আদালত তার আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।’
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় মো. সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত।
মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত এবং যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। পরে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে র্যাব।
একই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
