পেকুয়া সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে এক বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৭ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাইম্যাখালী এলাকায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, ওইদিন রাত ৭ টার দিকে সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাইম্যাখালী এলাকার নুরুল কাদেরের পুত্র টমটম চালক হেফাজ উদ্দিনের বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে তাৎক্ষণিক আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের লেলীহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু বৈদ্যুতিক আগুন হওয়াই মূহুর্তের মধ্যেই বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এখন খোলা আকাশের নীচে জীবন কাটাচ্ছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হেফাজ উদ্দিন বলেন, আমি ও আমার পরিবার ঘরে ছিলাম না। হঠাৎ করে পাশের লোকজন আগুনের বিষয়টি আমাকে জানায়। খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি আমার ঘরে আগুন।এসময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র সহ প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানাযায়, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। যথাসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে আশেপাশের অনেক ঘরবাড়ি পুড়ে যেতো। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা।
এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শীত নিবারণের জন্য কম্বল, চাল, ডাল, তেলসহ ত্রাণ সামগ্রী দেন। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমইউপি সাজ্জাদ হোসেন ও ৪নং ওয়ার্ডের এমইউপি শাহ নেওয়াজ আজাদ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।