ঈদগাঁও ও রামু উপজেলায় অবৈধ ১০ ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দুই দিন ব্যাপী পরিচালিত অভিযানে এসব জরিমানা আদায় করা হয়।

উক্ত অভিযানে ১০ টি অবৈধ ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গ করায় সর্বমোট ৩৩ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। এ সময় দু’টি ভাটার চুল্লি ধ্বংস করে দেওয়াসহ চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সাথে ভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

কিন্তু ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়ায় লোকালয় ও ফসলি জমিতে স্থাপিত টি কে ব্রিক ফিল্ড বরাবরের মতই ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

কক্সবাজার পৌরসভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার’র পরিদর্শক মুসআব ইবনে রহমান বলেন, প্রথম দিনের অভিযানে রামু উপজেলার ৫ টি ব্রিক ফিল্ডকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপর মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পরিচালিত অভিযানে ঈদগাঁও উপজেলার দিবা ব্রীক ফিল্ডকে ২ লক্ষ টাকা, এসএমএ ব্রিক ফিল্ডকে ৪ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, আরএমএম ব্রিক ফিল্ডকে ৩ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, এম কে ব্রিকফিল্ডকে ১ লক্ষ টাকা ও আরকেসি ব্রিক ফিল্ডকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ আবদুছ ছালাম, পরিদর্শক ফাইজুল কবির ও মুসাইব ইবনে রহমান উপস্থিত ছিলেন। জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ, র‌্যাব ১৫ এর টিম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম উপস্থিত থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

কক্সবাজার পৌরসভা ও ‘প্রবৃদ্ধির’ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

এদিকে এলাকাবাসী জানান, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়ায় লোকালয়ের পাশে আবাদি জমিতে স্থাপিত টি কে ব্রিকফিল্ড সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। উক্ত ইটভাটায় অভিযান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।