৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস সংঘাতে সাধারণ জীবনযাপনের আর সুযোগ নেই গাজাবাসীর। সেইসঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেছে অনেক শিক্ষার্থীসহ হাজারও ফিলিস্তিনির স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষা।
গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সহিংসতা শুরুর পর থেকে যে-সব শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ধূলোয় মিশে গেছে, তাদেরই একজন ফিলিস্তিনের মেডিকেল শিক্ষার্থী আসিল আবু হাদাফ। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল একজন চিকিৎসক হওয়ার, ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু ইসরাইলি বর্বরতায় এখন ঠাঁই হয়েছে রাফার তাঁবুতে। যেখানে বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে আমরা অনেক শান্তিপূর্ণভাবে বাড়িতে বসবাস করতাম। দিনের বেশির ভাগ সময় পড়াশোনা করে কাটাতাম। কিন্তু এখন আমার বেশির ভাগ সময় কাটে রুটি বানানো, কাপড় কাচা ও তাঁবু পরিষ্কার রাখাতে।’—আসিল আবু হাদাফের কণ্ঠে এই হতাশাই উঠে আসে।
এখন যেন সবটাই অতীত, সব কিছুই ধূসর মনে হয় হাদাফের। তবে হার মানার পাত্র নয় হাদাফ। ফিলিস্তিনের মেডিকেলের শিক্ষার্থীর কণ্ঠে দৃঢ়তা, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই গণহত্যা আর দুর্দশা দেখে আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আরও দৃঢ় হয়েছে। আমি এখন যে কোনো মূল্যে ডাক্তার হয়ে ফিলিস্তিনিদের সেবা করতে চাই।’
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন আসিল হাদাফ, যা এখন শুধুই ধ্বংস্তূপ। মেনে নেওয়া তার জন্য খুবই কষ্টের।
গাজার খান ইউনিস শহরে চার ভাই-বোন ও বাকি সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন হাদাফ। তবে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগই হারিয়েছেন তাদের বাড়িঘর। তারা এখন ভুগছে তীব্র খাবার, পানি ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকটে।
সূত্র: রয়টার্স
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।