মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে বন বিভাগের জমি দখলে নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মনের মতো অবৈধ ইটের দালান ঘর। এর দেখাদেখি স্থানীয় অনেকে আরও বনভূমি দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। উজাড় করছে বনের গাছপালা। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও ধ্বংস হচ্ছে। পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন।
আজ সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাঁকখালী রেঞ্জের আওতাধিন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বালুবাসা সুইচ গেইটে দক্ষিণ পাশে পার্শ্ববর্তী বনভূমির দখলকৃত বিশাল জায়গায় তিনকক্ষ বিশিষ্ট ইটের দালান ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুল আলম জানান,তিনি তার ভাইপুত কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত মেম্বার জসীম উদ্দীন মাধ্যম দিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদক না করা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে আবার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এটি বনভূমির জায়গা সেটা ঠিক আছে। তবে স্থানীয় মিয়ার (বনবিট কর্মকর্তা) ম্যানেজ করে তিনি অনুমতি দিয়েছে বলেই ঘরটি তৈরী করা হচ্ছে।
গত ১০-১৫ দিন ধরে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ- গ্রামের কথিপয় প্রভাবশালীদের মদদে অবৈধ এই ঘর নির্মাণ হচ্ছে।
এই ব্যাপারে কচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি বিষয়টা না শোনার আগে বলেন শামশুল আলমকে মামলা দিয়েছি বলে ফোন কেটে দেন দ্রুত।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ বাঁকখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান বলেন, আমি সামাজিক বনায়ন মধ্য ইটের দালান স্থাপনা বিষয়ে অবগত আছি। কচ্ছপিয়া বিট অফিসার বলে দিয়েছি আগামী কাল যাতে বন বিভাগে জায়গাতে দখল করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বাঁকখালী রেঞ্জ আওতাধীন কচ্ছপিয়া বিটে বালুবাসা সুইচ গেইটে মৃতঃ বশির আহম্মদ মেম্বারে ছেলে শামশুল আলম সামাজিক বনায়ন মধ্য ইটের দালান তৈরি নিমার্ণ করার বিষয়টা অবগত আছি। আমি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য বাঁকখালি রেঞ্জকে বলে দিয়েছি। বন বিভাগে জায়গাতে কোন ধরণের অবৈধ স্থাপনা তৈরি করতে দেওয়া হবে না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।