মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের ভয়াবহতার মুখে সীমান্তে বসবাসকারীদের জীবন অচল হয়ে গিয়েছিল। ছুড়ে আসছিল গুলির শব্দ কিংবা মর্টারশেল। অনেকে প্রাণ হারিয়েছে তাতে। ফলে সীমান্তে অবস্থিত ৫ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর এবার পুনরায় খুলে দেওয়া হচ্ছে এসব স্কুল।
সোমবার( ২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আগামী বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে।’
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় গত ২৯ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পরের দিন থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা থাকলে শিক্ষার্থীদের আসতে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশি নারীসহ দুইজন নিহত হন। এর পরে ঘুমধুম সীমান্তের দুটি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে প্রশাসন। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিম কুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।