বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিনবারের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলার বিরুদ্বে বিগত পরিষদের সদস্যদের বেতনভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান কর্তৃক আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি সদস্যরা।
তারা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলার বিরুদ্ধে বেতনভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে টাকাগুলো উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৬ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যরা। ওই আবেদনে সাবেক আটজন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। তারা হলেন, ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ইকবাল দরবেশী, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ও তৎকালীন প্যানেল চেয়ারমঢান জাকের আহমদ, ১নং ওয়ার্ডের মোঃ সাইফুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের আমির হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের আবু ছালেহ, ২নং ওয়ার্ডের শামসুল আলম এবং ১,২, ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য হাছিনা বেগম, ৭, ৮, ৯ সদস্য জেবুন্নাহার|
অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগীরা সবাই বিগত পরিষদের সদস্য। ওই সময় তাদের সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা। পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছরের বেতন ভাতা পাননি তারা। প্রতিমাসে ৪ হাজার ৬০০ টাকা টাকা করে প্রতিজন সদস্য তিন বছরের ভাতা হিসেসে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা পাওনা রয়েছেন। ১২ জন সদস্যের সর্বমোট ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রথম দুই বছর সদস্যদের বেতন ভাতার টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করলেও শেষ তিন বছরের কোনো ভাতা প্রদান করেননি চেয়ারম্যান। বিভিন্ন সময় ভাতার টাকা চাইলেও চেয়ারম্যান ‘আজ দিবে, কাল দিবে’ বলে সময় ক্ষেপণ করেছেন। শেষ পর্যন্ত টাকা পরিশোধ না করেই পরিষদ শেষ করে ১২জন সদস্যের তিন বছরের বেতন ভাতার সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো সদস্যের টাকা আত্মসাৎ করিনি। তা যদি হতো দুই বছর পর কেন অভিযোগ করেছে। টাকা পেলে তো পরিষদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে অভিযোগ তুলতো।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক ইউপি সদস্যদের বেতন ভাতার টাকা আত্মাসাতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে শুনানীর জন্য চেয়ারম্যানকে ডাকা হয়েছে। শিগগিরই শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’