জালাল আহমদ,ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘দ্বিতীয় কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ২০২৪’ গতকাল ১১ মে ২০২৪ শনিবার সন্ধ্যায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে সমাপ্ত হয়েছে।
এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘ডিফাইন কোডারস’। ১ম ও ২য় রানার্স আপ হয়েছে যথাক্রমে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘ডিইউ-প্রমিথিউস’ এবং ‘ডিইউ ডিলিজেন্স’।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইচিগুচি তমোহিদি এবং জেট্রো-এর
কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইয়ুজি আন্দো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো.
আব্দুর রাজ্জাক এবং কোড সামুরাই ২০২৪-এর আহবায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির। সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মনোমুগ্ধকর জাদু পরিবেশন করেন জাপানের জনপ্রিয়
জাদুশিল্পী শুটওগাওয়া।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিরাজমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে”। এই আয়োজনকে অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের সকল ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঘটেছে। এর ফলে বাংলাদেশ এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত হয়েছে এবং
স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রায়, নতুন নতুন উদ্ভাবনে এবং অপব্যাবহার রোধে নিজেদের প্রস্তুত করতে তরুন প্রোগ্রামার ও প্রযুক্তিবিদদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে তরুন প্রজন্মকে দক্ষ প্রযুক্তিবিদ ও মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে
তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ প্রোগ্রামাররা দেশে ও বিদেশে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এই দক্ষ তরুণ প্রজন্ম এবং জাপানের উন্নত প্রযুক্তির সম্মিলিত প্রয়াস ও যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-জাপান জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিসহ বেশকয়েকটি জাপানি আইটি কোম্পানির সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ দু’দিনব্যাপী এই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬টি দল অংশ নেয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।