সিবিএন ডেস্ক:
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ প্রায় এক মাস পর সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে। জাহাজটি সন্ধ্যায় নোঙর করে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায়।
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর পরপরই নাবিকদের খুশির এ মুহূর্তটি পরিবারের কাছে ফোন করে বলতে দেখা গেছে। বিশেষ এমন খবরে খুশি পরিবারের সদস্যরাও।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি আজই বিকেলে কুতুবদিয়ায় ভেড়ে, কিন্তু নাবিকদের তীরে আনা হবে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। তাদের লাইটার জাহাজে আবদুল্লাহ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে আনা হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসীরা- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কারণ হলো, এত বড় জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর রয়েছে। এতে জাহাজটির ড্রাফট (পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার, যা চারতলার সমান। ফলে বন্দর জেটিতে এটি ভেড়ানো সম্ভব হবে না।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল ভোররাত ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর নিয়ে দেশে রওনা দেয়।’
কেএসআরএম সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক। এ জন্য ২৩ নাবিকের পরিবারে চলছে নানা আয়োজন। নিজ নিজ পরিবারে নাবিকদের জন্য চলছে পছন্দের রান্নাও।
জানা যায়, জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা করে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
মুক্তিপণের বিনিময়ে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় জাহাজসহ ২৩ নাবিক। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরে সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
খবর পড়ুন
টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন
৩১ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
আরও খবর পেতে যুক্ত থাকুন CoxsbazarNEWS.com এর সাথে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।