শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয় প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার এফ.বি আল্লাহ মালিক নামক ট্রলারের এক জেলেকে হাত-পা বেধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একই ট্রলারের মাঝি-মাল্লাসহ মালিকের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার রাত ৯টার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়নে মলমচর এলাকার পূর্ব পার্শ্বে এফ.বি আল্লাহ মালিক ফিসিং
ট্রলারের মালিক আব্বাস কোম্পানি হুকুমে বেধে এমন শারিরিক নির্যাতন করেছে বলে জানান আহত জেলে আবুল কালাম।
আহত জেলে আবুল কালাম বলেন, গত কিছুদিন আগে ডিজেল চুরির ঘটনা ঘটে ট্রলারে। ২৮ মাঝি-মাল্লার মধ্যে কে বা কারা চুরি করেছে এটা কেউ জানে না। এ ঘটনার জের ধরে গভীর সাগরে মাছ শিকার করে আসার সময় মারধর করার চেষ্টা করে মাঝি-জেলেরা। কোন রকম পায়ে হাতে ধরে রক্ষা পেয়ে গত সোমবার ৯ টার দিকে
ট্রলার নোঙ্গর করলে মলমচর এলাকায় ট্রলার মালিক মৃতঃ জাকের হোসেনের ছেলে আব্বাস কোম্পানী (৪০) ট্রলারে উঠে হুকুম দেয় লেমশীখালী ইউনিয়নের মৃতঃ আবু বক্করের ছেলে মকছুদ আহামদ মাঝি (৪২),একই ইউনিয়নের আবদু শুকুরের ছেলে মোঃ জাহেদ (২৫), মোঃ বাদশা, মোঃ মোস্তফা (৩০), মোঃ মিশু (৩৫), বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ অমজাখালী এলাকার মোঃ কালুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফিসিং ট্রলারে রক্ষিত বরফ আঙ্গার লোহার গেজি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করেন।
পরে, ট্রলার মালিক আব্বাস কোম্পানি চিৎকার করে বলেন, শালার পুতকে হাত পা বেঁধে খালে ফেলে দে। মারা গেলে কয় টাকা দিতে হবে এটা আমার জানা আছে। দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান আহত জেলে আবুল কালাম এবং এর সঠিক বিচারের দাবি জানান তিনি।
এদিকে,ট্রলারের মালিক আব্বাস কোম্পানির সাথে কথা হলে তিনি জানান, আহত আবুল কালাম আমাকে যে-রকম বলেছেন আমি সেটা শুনেছি। তাঁর হুকুমে মারধরের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি কেউকে মারধর করার জন্য বলি নি। এটা মিথ্যা কথা বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মনসুর মির্জা জানান, এজাহার পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।