শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়ায় ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে সাগর থেকে ফিশিংবোট, ট্রলার, নৌকা ও মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। এসময় বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার দাবি জানান জেলেরা। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে বরাদ্দের চাল দ্রুত বিতরণ এবং এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য কুতুবদিয়া চ্যানেলে মাছ আহরণসহ সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উপজেলা মৎস্য অফিস। এসময় মাছ আহরণের পাশাপাশি পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময়ের ওপরেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া, উপজেলার ২০ হাজারের অধিক জেলে থাকলেও সরকারিভাবে এ পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে ১০ হাজার ৯শত ৫৯ জন। তবে এখনো অনেকে নিবন্ধিত হতে পারেনি।
এদিকে, বড়ঘোপসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়,অমজাখালীতে কয়েক শতাধিক ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা সরঞ্জাম নিয়ে দল বেঁধে ঘাটে ফিরছেন। অন্যদিকে, রোমাই পাড়া,কৈয়ারবিল, আলী ফকির ডেইল,আকবার বলিপাড়া,কায়সার পাড়া,মাতবর পাড়ায় তীরে নোঙর করে ফিশিংবোট, ট্রলার থেকে ইঞ্জিন, জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিরাপদ স্থানে রেখে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো জেলে এসব সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
বড়ঘোপ অমজাখালী এলাকার বাসিন্দা কুতুব উদ্দীন মাঝি জানান, সরকার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ট্রলার, নৌকা, জালসহ মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম উঠিয়ে নিয়েছেন তিনি। অভিযানের সময় মাছ ধরতে সাগরে যাবেন না আর এমনটি জানিয়েছেন।অন্যদিকে,কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মাহমুদ মাঝি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় আর তো সাগরে মাছ ধরতে পারবো না। তাই আমাদের তো কোন আয় ইনকামও থাকবো না। তাই এবছর সরকার যদি আমাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল দ্রুত আমাদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা, মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকে সফল করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা করেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি চাউলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতরণ করা হবে । তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৬৫ দিনের মাছ রক্ষার নিষেধাজ্ঞার কঠোর করার জন্য সকল প্রস্তুত গ্রহণ করেছি। যারা সরকারি আইন অমান্য করে সাগরে গিয়ে মাছ শিকার করবে তাদের জেল ও জরিমানা করা হবে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।